দিল্লি, মুম্বাই, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, লখনউ, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, বেঙ্গালুরু, মেঙ্গালুরু- সর্বত্র চলছে নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ। বিক্ষোভ এবং আন্দোলনে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। একাধিক ঘটনা ঘটেছে লাঠিচার্জের, পুলিশি তাণ্ডবের, টিয়ার গ্যাস ছোড়ার। এবার সেই প্রতিবাদে নিহত হন মেঙ্গালুরুর ২ প্রতিবাদীকে।
জানা যায়, সেখানে পুলিশের গুলিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভড়কে গেছে বিজেপি!আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপনে তারা ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘সারা দেশে এনআরসি নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি। যদি তা হয়ও তাহলে এমনভাবে হবে যেন এতে কোনো ভারতীয় নাগরিকের জীবনে তার প্রভাব না পড়ে। ’ এমন বিজ্ঞাপনে কূটনীতিকরা অনুমান করছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞাপনে ‘যদি’ শব্দের উল্লেখ এটাই ইঙ্গিত করছে যে সারা দেশের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে রীতিমতো চাপে পড়ে গেছে আত্মবিশ্বাসের চূড়ায় বসে থাকা মোদি–শাহ জুটি।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা তিন পৃষ্ঠার ফ্যাক্টশিটে প্রশ্নোত্তরের মতো সরকার বিস্তারিতভাবে লিখেছে, সিএএ একটা পৃথক আইন এবং এনআরসি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রক্রিয়া। সংসদে বিল পাস হওয়ার পর সিএএ সারা ভারত কার্যকর হয়েছে। কিন্তু এনআরসি প্রক্রিয়া নিয়ে এখনও সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া শেষ হয়নি।
সরকার আরও লিখেছে, শুধু ভারতীয় মুসলিম নয়, কোনো ভারতীয় নাগরিকেরই সিএএ বা এনআরসির বিষয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কোনো বিশেষ একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে এনআরসি হবে না। এটি যদি হয় তাহলে তা দেশের সব ধর্মের জন্যই কার্যকর হবে।
সূত্র: আজকাল।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ