রাত হয়েছে আমার বাড়ি থাকেন, স্বামীকে পিটিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ

রাত হয়েছে আমার বাড়ি থাকেন, স্বামীকে পিটিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ

অনলাইন ডেস্ক

আখাউড়া থেকে কুমিল্লায় শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় রেল স্টেশন এলাকায় স্বামীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা।

পরে নারীর চিৎকার শুনে এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯- এ ফোন করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। তার হলেন- লাবু মিয়া, নাসির আহমেদ, নজরুল ইসলাম, সাদ্দাম ও জমির হোসেন। আটকরা ব্রাহ্মণপাড়ার শশীদলের বাসিন্দা।  

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদীরা জানায়, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ওই দম্পতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বেড়াতে আসে।

শনিবার সন্ধ্যায় কিছু দুর্বৃত্ত স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে একটি ধান খেতে নিয়ে ধর্ষণ করছে। ৯৯৯- এ ফোনকারী ভিকটিম মেয়েটির চিৎকার শুনতে পান। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কলারকে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ডিউটি অফিসারের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়া হয়। সংবাদ পেয়ে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে উদ্ধার করে।

সন্দেহভাজন পাঁচজনকে আটক করে। ধর্ষিতার স্বামী ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার বাসিন্দা।

তিনি জানান, আমি ও আমার স্ত্রী গত শনিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া থেকে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাল্লা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে ট্রেনে করে শশীদল রেল স্টেশনে রাত ৮টার সময় পৌঁছাই। রেল থেকে নেমে আমরা চা খাওয়ার জন্য শশীদল স্টেশনের নাসির মিয়ার চা দোকানে গিয়ে কিছু সময় বসি এবং চা পান করি। এক পর্যায়ে চা দোকানের মালিক নাসির মিয়া আমাদের বলেন, এখন রাত অনেক হয়েছে, আপনার শ্বশুরবাড়ি নাল্লা এলাকায় যাওয়ার জন্য কোনো গাড়ি পাবেন না। আজ রাতে আমার বাড়িতে থেকে সকালে উঠে চলে যাবেন। তার বাড়িতে গিয়ে পরিস্থিতি অনুকূলে না দেখে আমরা বের হয়ে যেতে চাইলে সে এবং তার সহযোগীরা আমার ও স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে পাশের ধানের জমিতে নিয়ে যায়। আমাকে নাসির ও তার সহযোগী শশীদল গ্রামের মৃত উলফত আলীর ছেলে জমির হোসেন আটক করে রেখে মারধর করে।

অন্যদিকে আমার স্ত্রীকে ওই এলাকার নসু মিয়ার ছেলে লাবু মিয়া ধর্ষণ করে। ওই গ্রামের মৃত কাশেম মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম, মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে সাদ্দাম হোসেন আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
 
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ওই দম্পতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ওই এলাকায় আসে।

ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, এ বিষয়ে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর