নুরুর ওপর হামলা: মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিনজন রিমান্ডে

অনলাইন ডেস্ক

ভিপি নুরুল হক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিন নেতাকে তিন দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। শাহবাগ থানা-পুলিশ ওই তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলে এ রায় দেওয়া হয়।

পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।

আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

রিমান্ডের আসামি হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের একাংশের নেতা আল মামুন, ইয়াসির আরাফাত ও মেহেদী হাসান।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২২ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও বুলবুল গ্রুপের ৩৫ থেকে ৪০ জন নেতা-কর্মী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন। রাষ্ট্রপতিকে টেলিনরের উকিল নোটিশ পাঠানোর প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা সেখানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচি শেষে মিছিল নিয়ে মধুর ক্যানটিনে যাওয়ার পথে ডাকসুর সামনে ভিপি নুরুল হকসহ অন্যদের সঙ্গে মঞ্চের নেতা-কর্মীদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।

দুই পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়।

এ অবস্থায় নুরুল তাঁর সহযোগীদের নিয়ে ডাকসু ভবনে ঢোকেন। তখন এই তিন আসামিসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন ডাকসু ভবনের ভেতর ঢোকেন। তাঁরা নুরুলসহ অন্যদের লাঠিসোঁটা ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করেন। এতে ভিপি নুরুল, মামুন, রাশেদ, ফারুক, মেহেদী ও ফারাবীরা গুরুতর আহত হন। একপর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতারা সেখান থেকে চলে যান। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার।

পরে আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে তিন আসামির প্রত্যেককে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

ডাকসুর ভিপি নুরুলসহ অন্যদের ওপর হামলার ঘটনায় আজ সকালে পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করে। মামলায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এর বাইরে অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছেন।

গত রোববার দুপুরে রড, লাঠি ও বাঁশ নিয়ে ভিপি নুরুলের ওপর হামলা চালান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ সময় নুরুলের সঙ্গে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কয়েকটি কলেজের কিছু ছাত্রসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।

তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা তুহিন ফারাবীর অবস্থা গুরুতর। তাঁকে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যবস্থায় রাখা হয়েছিল।

গতকাল শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নিয়ে আসা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর