ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় স্কুলছাত্রী জান্নাত আক্তারকে (১০) ধর্ষণের পর হত্যা করে বাঁশঝাড়ে ফেলে রাখার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে মামলা হয়েছে।
শিশুটির বাবা রফিক মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে কসবা থানায় মামলাটি করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও ওই শিশুর পরিবার জানায়, জান্নাত গত রোববার বিকেলে নিখোঁজ হওয়ার পর গতকাল সোমবার সকালে তার লাশ পাওয়া যায়।
জান্নাত উপজেলার মন্দবাগ গ্রামের রফিক মিয়ার মেয়ে।
রফিক মিয়ার বাড়ি সিলেটে। মন্দবাগে তাঁর শ্বশুরবাড়ি।পরিবার নিয়ে তিনি সেখানেই থাকেন।
গতকাল সোমবার রাতেই জানাজা শেষে শিশু জান্নাতের লাশ দাফন করেছে পরিবার।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, স্থানীয় মন্দবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাত রোববার বিকেলে নিখোঁজ হয়। পরে সোমবার সকালে বাঁশঝাড় থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বাঁশঝাড়ের ভেতর ফেলে রাখার ঘটনায় বাবা রফিক মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেছেন বলে জানান ওসি।
কসবা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবদুল করিম বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশের বিশেষ কয়েকটি দল কাজ করছে। শিগগিরই শিশু হত্যার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটিত হবে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)