একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত তরুণী শান্তিতে নোবেলজয়ী পাকিস্তানি মেয়ে মালালা ইউসুফজায়ী। জাতিসংঘের একটি পর্যবেক্ষণ থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। একুশ শতকে কিশোরদের ওপর ঘটা বেশ কিছু ঘটনার প্রতি নজর দিয়ে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। গত একটি দশকে ঘটা ইতিবাচক ঘটনাবলীর মধ্যে মালালাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়টি শীর্ষে রয়েছে।

পর্যবেক্ষণের প্রথম ধাপে ২০১০ সাল থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে বিভিন্ন ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে, হাইতির বিপর্যয়কর ভূমিকম্প, নারী শিক্ষায় মালালার চেষ্টা ও মালিতে জাতিসংঘের সবচেয়ে বিপজ্জনক মিশন। প্রতিবেদনে বলা হয়, তরুণ বয়স থেকেই মালালা ইউসুফজাই নারী শিক্ষার পক্ষে ও তালেবানের নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলায় তিনি বিখ্যাত হয়ে উঠেন।

পাকিস্তানের অস্থিতিশীল সোয়াত উপত্যকায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা মালালার। ২০১২ সালের বাসযোগে সহপাঠীদের সঙ্গে তিনি স্কুলে যাচ্ছিলেন। তখন তাকে গুলি করেন তালেবান বন্দুকধারীরা। তারা তার মাথায় গুলি করলেও পরবর্তীতে তিনি সুস্থ হয়ে উঠতে পেরেছিলেন।

জাতিসংঘ বলছে, মালালার তৎপরতার জন্যই তাকে এভাবে প্রকাশ্যে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ২০১৪ সালে শান্তিতে নোবেল ছাড়াও বেশ কিছু বিখ্যাত পুরস্কার মালালার ঝুলিতে আসে। নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে ২০১৭ সালে জাতিসংঘ মালালাকে শান্তির দূত নির্বাচিত করেছিল।