বাঘের থাবায় ধরাশায়ী হাতুরুর শ্রীলঙ্কা

সংগৃহীত ছবি

বাঘের থাবায় ধরাশায়ী হাতুরুর শ্রীলঙ্কা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

কিছুদিন আগেও যে উইকেট তার কথা মতো আচরণ করত, সেই উইকেটই কিনা এখন তার বড় অচেনা! নিজ দেশ লঙ্কানদের কোচ হয়ে প্রথমবার সাবেক শিষ্যদের মুখোমুখি হয়ে হাতুরুসিংহকে পেতে হলো পরাজয়ের স্বাদ। তাও ১৬৩ রানের পরাজয়। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশের কাছে এমন হার যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ।

টস জিতে এদিন আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি।

তামিম-সাকিব-মুশফিকের ব্যাটিং নৈপুণ্যে নির্ধারিত ওভার শেষে সাত উইকেটে ৩২০ রান তোলে স্বাগতিক বাংলাদেশ। জবাবে শ্রীলঙ্কা ৩২.৩ ওভারেই গুটিয়ে যায়। খাতায় রানের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫৭।

হাতুরু নাকি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দুর্বলতা সম্পর্কে জানেন।

এখানকার উইকেটের আচরণ নাকি তার মুখস্থ! কিন্তু, এই সিরিজে তার সেই চিরচেনা উইকেট নাকি অচেনা লাগছে।  

শুক্রবার হাতুরুর শিষ্যদের পিটিয়ে রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচেও লঙ্কান বোলারদের পিটিয়েছেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জিম্বাবুয়ে করেছিল ২৯০ রান। আর টাইগাররা করেছে ৩২০।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের ৮৪, মুশফিকুর রহিমের ৬২, সাকিব আল হাসানের ৬৭ ও সাব্বির রহমানের ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংসটিতে ভর করে স্কোরবোর্ডে ৩২০ রান জমা করে বাংলাদেশ।

৩২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ভালো ফর্মে থাকা কুশল পেরেরাকে তৃতীয় ওভারেই সাজঘরমুখী করেন নাসির। দ্বিতীয় উইকেটে ৪১ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন উপুল থারাঙ্গা ও কুশাল মেন্ডিস। কিন্তু, অধিনায়ক মাশরাফির জোড়া আঘাতে আবার টলোমলো হয়ে ওঠে লঙ্কান শিবির।  

১৯তম ওভারে শ্রীলঙ্কাকে আবার ধাক্কা দেন মুস্তাফিজুর রহমান। বোল্ড করে সাজঘরে পাঠিয়েছেন নিরোশান ডিকওয়েলাকে। ২৫তম ওভারে সাকিবের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হয়ে ফিরে যান অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল (২৮)। পরের ওভারে বল হাতে নিয়ে সাকিব আরও ধ্বংসযজ্ঞ চালান লঙ্কান শিবিরে। টানা দুই বলে আউট করেন আসেলা গুনারত্নে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে। ৩০তম ওভারে শ্রীলঙ্কার শেষ আশা থিসারা পেরেরাকে আউট করেই জয় নিশ্চিত করে ফেলেন সাকিব।

বাংলাদেশের পক্ষে ৪৭ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন সাকিব। মাশরাফি আর রুবেল হোসেন নেন ২টি করে উইকেট। একটি উইকেট মোস্তাফিজের।

টুর্নামেন্টের তিন ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের সর্বমোট পয়েন্ট দশ। এক ম্যাচ জিতে জিম্বাবুয়ের পয়েন্ট চার। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট ০। প্রত্যেক দলের ম্যাচ বাকি দুটি। দুই ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিতে নেওয়ায় দুই ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশ ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে তা বলাই যায়। কারণ, জিম্বাবুয়ে দুটি ম্যাচ বোনাস পয়েন্ট সহ জিতলে তাদের পয়েন্ট ১৪। বোনাস পয়েন্ট ছাড়া জিতলে ১২ এবং একটিতে বোনাস পয়েন্ট নিয়ে জিতলে ১৩ পয়েন্ট হবে জিম্বাবুয়ের। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা যদি দুই ম্যাচ বোনাস পয়েন্টসহ জিততে পারে তবে তাদের পয়েন্ট হবে ১০। বোনাস পয়েন্ট ছাড়া জিতলে ৮ এবং একটিতে বোনাস পয়েন্ট সহ জিতলে ৯। অর্থাৎ, এই সিরিজে হাতুরুসিংহের শ্রীলঙ্কাকেই খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর