হিন্দু হওয়ায় কানেরিয়ার সঙ্গে খাবারও খেতো না পাকিস্তানিরা

হিন্দু হওয়ায় কানেরিয়ার সঙ্গে খাবারও খেতো না পাকিস্তানিরা

অনলাইন ডেস্ক

সাবেক পাকিস্তানি স্পিডস্টার শোয়েব আখতার সম্প্রতি দাবি করেন যে তার সতীর্থ দানিশ কানেরিয়ার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করতো কিছু পাকিস্তানি ক্রিকেটার। কানেরিয়া হিন্দু হওয়ার কারণে তার সঙ্গে একসাথে বসে খেতে চাইতেন না তারা।   

ক্রিকেট বিশ্লেষক ডা. নুমান রিয়াজের পাকিস্তানি টিভি শো ‘গেম অন হেই’ নামক এক অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দিতে এসে অতীতের এই স্মৃতি তুলে ধরেন শোয়েব। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘হিন্দু হওয়ার কারণে দানিশ কানেরিয়ার সঙ্গে অন্যায্য আচরণ করতো’ পাকিস্তান ক্রিকেট দল।

তিনি আরও বলেন, ‘ধর্মীয় অজুহাত দিয়ে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হতো, এবং প্রায় সহ-খেলোয়াড়রাই তার সঙ্গে একসাথে বসে খেতে অস্বী্কৃতি জানাতো। ’

অনিল দালপাতের পরে দ্বিতীয় হিন্দু এবং সপ্তম নন-মুসলিম ক্রিকেটার হিসেবে পাকিস্তানের জার্সিতে খেলেছেন করাচির সিন্ধের ছেলে কানেরিয়া। টিভি প্রোগ্রামটিতে শোয়েব আরও বলেন, ‘দানিশ হিন্দু। তাই তার সঙ্গে সবসময় অন্যায় করা হতো।

এমনকি কিছু খেলোয়াড় প্রতিক্রিয়া দেখাতো, কেন তাকে আমাদের সঙ্গে খাবার দেওয়া হবে?’ 

দুর্দান্ত বোলিং পারফর্ম্যান্স সত্ত্বেও শুধুমাত্র হিন্দু হওয়ায় কানেরিয়াকে কখনও সম্মান দেখাতো না তার সতীর্থরা, জানান ৪৪ বছর বয়সী শোয়েব। ড্রেসিং রুমের একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শোয়েব বলেন যে যখন তার সতীর্থরা দানিশের সঙ্গে খাবার খেতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছিল, তখন এক পর্যায়ে তিনি তাদের উপর রেগে গিয়ে বলেন, বর্ণবাদী আচরণের জন্য সবাইকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া উচিত।  

টিভি শো’তে মোহাম্মদ ইউসূফ নিয়েও নিজের মুখ খুলেন শোয়েব। তিনি জানান যে সামাজিক এই কুসংস্কারের কারণে ইউসূফ ইয়োহানা ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য হন এবং মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে তিনি তার নাম রাখেন মোহাম্মদ ইউসূফ। শোয়েবের ভাষ্য, ‘১২ হাজার রান করেছিল ইউসূফ। কিন্তু আমরা কখনও তাকে গার্ড অব অনার দিইনি। তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দেইনি। ’  

জন্মগতভাবে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ছিলেন ইয়োহানা। এরপর ২০০৫ সালে তিনি ধর্মান্তরিত হন এবং তাবলিগ জামাতের অনুসারি হয়ে ওঠেন।  

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ