রাশিয়ার অ্যাভানগার্ডকে উল্কাপিণ্ডের সঙ্গে তুলনা

অনলাইন ডেস্ক

শব্দের চেয়েও ২০ গুণ গতিসম্পন্ন অ্যাভানগার্ড ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম রেজিমেন্ট মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এর বৈশিষ্ট্য অতিশব্দ সৃষ্টি না করে ওড়া এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করা।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বরাতে বিবিসি জানায়, তবে কোথায় এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে, তা জানানো হয়নি। তবে এর আগে কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছিলেন, উরালসে এটি মোতায়েন হবে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, এই পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়েও ২০ গুণ বেশি গতিতে হামলা চালাতে পারবে। যা অন্য দেশগুলো থেকে রাশিয়াকে এগিয়ে রেখেছে। কোনো অতিশব্দ সৃষ্টি না করেই মসৃণভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র উড়তে সক্ষম হবে। এতে এটা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে।

২৭ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় ১০ টায় অ্যাভানগার্ড হাইপারসনিক গ্লাইড ভিহিকল কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গে সোয়গু।

মঙ্গলবার পুতিন আরও বলেন, অ্যাভানগার্ড বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে আঘাত হানতে পারবে। একমাত্র রাশিয়া ছাড়া এখন পর্যন্ত আর কোনো দেশের মহাদেশীয় পাল্লার হাইপারসনিক অস্ত্র নেই। পশ্চিমা ও অন্যান্য দেশগুলো আমাদের সমান হওয়ার চেষ্টা করছে।

২০১৮ সালের মার্চে বার্ষিক রাষ্ট্রীয় ভাষণ দেওয়ার সময় অ্যাভানগার্ড ও অন্যান্য অস্ত্র ব্যবস্থা উন্মুক্ত করেন পুতিন। তখন এটাকে উল্কাপিণ্ড ও ফায়ারবলের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণাঞ্চলীয় উরাল পর্বতমালার দমবারোভস্কি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি থেকে ছয় হাজার কিলোমিটার নিশানায় পরীক্ষামূলক আঘাত হানে এই অস্ত্র।

বর্তমান ও ভবিষ্যতের যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই অস্ত্রকে রুখতে পারবে না বলে দাবি করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

আন্তঃমহাদেশীয় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে অ্যাভানগার্ড দুই মেগাটন পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারবে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)