রোববার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির কার্যালয়ে দুই সিটির মেয়র প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
তাপস বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চান।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সেই উন্নত বাংলাদেশের উন্নত রাজধানী বির্নিমাণে কাজ করা অত্যন্ত আবশ্যক। সেই বিবেচনা করেই তিনি সিটি কর্পোরেশনকে দুই ভাগে বিভক্ত করলেন।তিনি বলেন, যেহেতু জনসংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে, নাগরিক সুবিধাগুলো এখনও পাচ্ছে না, তাহলে দুইভাগে বিভক্ত করলে হয়তবা সুযোগ-সুবিধাগুলো আরও নিশ্চিত করা হবে।
‘কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা দেখছি যে দক্ষিণ কর্পোরেশনের মানুষ কিন্তু এখনও অবহেলিত।
তাপস আরও বলেন, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে পুরান ঢাকার ঘিঞ্জি এলাকার কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মানুষের চলাচলে অনেক সমস্যা হয়।
তিনি বলেন, পুরাতন ঢাকার ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে, ঘিঞ্জি রাস্তা কিন্তু বিদেশেও আছে কিন্তু সেখানে সবরকম যানবাহন চলে না। কোন রাস্তায় কোন যানবাহন চলবে সেটার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে হবে। সেই অনুযায়ী সেই রাস্তাগুলোকে সংরক্ষণ ও সংস্কার করতে হবে। সেভাবে যদি করা যায়, তাহলে দেখবেন পুরান ঢাকা স্বমহিমায়, স্বকীয়তায় এর সৌন্দর্য প্রস্ফূটিত হবে।
‘আমি চিন্তা করছি এক সময়ে ঐতিহ্যবাহী ঢাকায় ঘোড়ার গাড়ির বড় প্রচলন ছিল। সেটা যেন সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে সেই পরিকল্পনাও আমাদের নিতে হবে। ’
তাপস বলেন, আমি চাইবো ৩০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি একটা মহাপরিকল্পনা করতে। আর সেটা হবে ২০৪১ সালকে সামনে রেখে।