‘৩০ ডিসেম্বরের মতো সাহস না পেয়ে ইভিএম’র চিন্তা’

‘৩০ ডিসেম্বরের মতো সাহস না পেয়ে ইভিএম’র চিন্তা’

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এদেশের মানুষ নিজের হাতে ভোট দিয়ে অভ্যস্ত। তাই ইভিএমের মতো কোনো যন্ত্রের প্রয়োজন নেই।

এদেশের মানুষ নিজের হাতে ভোট দিতে চায়, মেশিনের মাধ্যমে নয় বলেও মনে করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মোশাররফ বলেন, বিএনপি অংশগ্রহণ করার কারণেই ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে।

কিন্তু এই সরকার এবং এই নির্বাচন কমিশন যা বলে, তা তাদের মনের কথা নয়।

‘৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ তারিখ রাতে ডাকাতি হয়েছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, সবাই জানেন ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ তারিখ রাতে ডাকাতি হয়েছে। বিএনপি অংশগ্রহণ করার কারণেই এটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সরকারকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, আমরা যেহেতু গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, আমরা গণতন্ত্রের ধারাকে অব্যাহত রাখতে চাই, সেজন্য আমরা বারবার জনগণের কাছে যাচ্ছি।

আর সরকার এবং নির্বাচন কমিশন– তারা পক্ষপাতিত্ব করে, ডাকাতি করে, জোর করে, রেজাল্ট ছিনতাই করে একটি দলের পক্ষে দিচ্ছে।

‘জনগণ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরেও বিক্ষুব্ধ হয়েছে। এবার সিটি নির্বাচনে যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে, তবে জনগণ সেটা মেনে নেবে না। আমরা বিশ্বাস করি না কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আমরা অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে, কিন্তু আমরা আশা করি না তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে। ’

তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর জনগণ যদি কেন্দ্রে যেত; তাহলে তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারতো না। সেই ভয়ে আগের রাতে তারা ভোট ডাকাতি করেছে। এবার আবার যদি দ্বিতীয়বার এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে, সেই সাহস তারা পাচ্ছে না। তাই তারা মেশিনের মাধ্যমে কারচুপি করার উদ্দেশ্য নিয়ে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নিতে চাচ্ছেন। ’

মোশাররফ বলেন, আমরা ইতিপূর্বে বহুবার জানিয়েছি এবং আমাদের নেতারা স্টেটমেন্ট দিয়েছেন: আমরা এই ইভিএম পদ্ধতি চাই না এবং এর প্রতি আমাদের আস্থা নেই।

‘তাই আমরা এখন মনে করি ইভিএম পদ্ধতি নয়, আমাদের দেশের মানুষ যেই পদ্ধতিতে অভ্যস্ত এবং যেই পদ্ধতি আমাদের দেশে প্রচলিত আছে; সেই পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে। ’

বিএনপির সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের যেখানে কথা দিয়েছিলেন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করা হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করার পর যেটা করতে পারেনি বা করেনি এখন নির্বাচন কমিশন বা মন্ত্রীরা আশ্বস্ত করলে আমরা বিশ্বাস করব না, কারণ জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না। ’

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর