‘পাহাড়ে অরক্ষিত সীমান্তের কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত’

‘পাহাড়ে অরক্ষিত সীমান্তের কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত’

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি প্রতিনিধি

পাহাড়ে অরক্ষিত সীমান্তে কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর।

তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করা গেলে মাদক পাচার অনেকটা বন্ধ হয়ে যাবে। তিন পার্বত্য জেলার অনেক দুর্গম সীমান্ত রয়েছে। যেগুলো এখনো অরক্ষিত।

আর এসব অরক্ষিত সীমানাকে মাদক পাচারের নিরাপদ সড়ক হিসেবে ব্যবহার করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। ‌ এ মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে যুব সমাজের কাছে।

মাদকের কারণে এখন যুব সমাজ ধ্বংসের পথে। এসময় তিনি যার যার অবস্থান থেকে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।

বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় রাঙামাটি জিমনেশিয়াম চত্বরে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর এসব কথা বলেন।

রাঙামাটি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে এতে রাঙামাটি
ডিজিএফআই এর প্রধান কর্ণেল মো. শামসুল আলম, রাঙামাটি জেলা পুলিম সুপার মো. আলমগীর কবির, রাঙামাটি পৌর মেয়র মো. আকবর হোসেন চৌধূরী, রাঙামাটি জেল সুপার মো. মতিউর রহমান ও রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. সাখাওয়াৎ হোসনে রুবেল উপস্থিত ছিলেন।

রাঙামাটি জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, রাঙামাটি জেলাতে বর্তমানে মাদক পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলেও অনেক কমে এসেছে।

গত ছয় মাসে রাঙামাটি মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এরই মধ্যে ২০০টির অধিক অভিযান পরিচালনা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০টির অধিক মামলা করা হয়েছে।

পরে আনুষ্ঠানিকভাবে কেক কেটে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সূচনা করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

অন্যদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আট দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করছে
রাঙামাটি জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর