সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডে ইউরোপে ইতিবাচক সাড়া পায়নি যুক্তরাষ্ট্র

সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডে ইউরোপে ইতিবাচক সাড়া পায়নি যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানান, ইরাকে মার্কিন হামলায় ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলায়মানিকে হত্যার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র যেমনটা প্রত্যাশা করেছিল, ওয়াশিংটনের ইউরোপীয় মিত্ররা ততটা সহায়কা না। এই ড্রোন হামলা নিয়ে আলোচনা করতে বিশ্বজুড়ে কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান পোম্পেও। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকানরা ও ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল।

সোলাইমানিকে গুপ্তহত্যায় আঞ্চলিক উত্তেজনা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পম্পেও বলেন, 'গত দুই দিনের মধ্যে অধিকাংশ সময় আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে কাটিয়েছি। তাদের সহায়তা চেয়েছি আমরা। তারা সবাই চমৎকার। ' তিনি আরও বলেন, অন্যান্য কিছু অঞ্চলের অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করেছি, সব খুব ভালো হয়নি।
ইউরোপীয়রা যতটা সহায়ক হবে বলে আমরা আশা করেছিলাম, আসলে তারা তেমন সহায়ক নয়। ' এই শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক জানান যে সোলাইমানিকে যুক্তরাষ্ট্র কালোতালিকাভুক্ত করেছিল।

কাশেম সোলাইমানিকে গুপ্তহত্যার পর ইউরোপীয় পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম অবলম্বন ও দায়িত্বশীলতা প্রদর্শনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এর মধ্যেই সব পক্ষকে সংযত হতে বলেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়ের ম্যাক্রন। আর উত্তেজনা কমিয়ে আনাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডমিনিক রব।

পম্পেও বলেছেন, 'ব্রিটিশ, ফরাসি ও জার্মানদের আসলে বোঝা দরকার যে আমরা কি করছি, আমেরিকানরা ঠিক কি করেছে। আমরা তো ইউরোপীয়দের প্রাণও রক্ষা করেছি। এই বিষয়টা পুরো বিশ্বের জন্য ভালো বিষয়। ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে একটি স্বাভাবিক দেশের মতো তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্র যা করতে চেষ্টা করছে, সেটায় সমর্থন দিতে বিশ্বের সবাইকে আমরা আহ্বান করছি। '

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ