‘টার্গেট যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি, যুদ্ধজাহাজ ও সেনা’

‘টার্গেট যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি, যুদ্ধজাহাজ ও সেনা’

অনলাইন ডেস্ক

জেনারেল কাশেম সোলেমানিকে হত্যার পর মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার রাতে বাগদাদের অতি সুরক্ষিত গ্রিন জোন এবং ইরাকের একটি বিমানঘাঁটিতে রকেট ও মর্টার হামলা হয়েছে। বালাদ বিমানবন্দরের কাছে বেশ কয়েকজনকে গুলি করা হয়েছে। ইরানের মসজিদের মিনারে মিনারে রক্তলাল ‘যুদ্ধপতাকা’ উড়িয়ে প্রতিশোধের ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির জনগণ।

প্রতিশোধ হিসেবে ইরান ৩৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলার যে পরিকল্পনা করেছে, তার মধ্যে ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবও আছে। এর মধ্যেই হুঁশিয়ারির পর হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছেন লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ।

তিনি এর প্রতিশোধ নিতে পুরো প্রতিরোধকামী ফ্রন্টের সদস্যদের আহ্বান জানান।

বলেছেন, এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়া শুধু ইরানের দায়িত্ব নয়; এ দায়িত্ব পুরো প্রতিরোধকামী ফ্রন্টের।

‘মার্কিন সেনা কর্মকর্তা ও সিপাহীদের লাশ মধ্যপ্রাচ্য থেকে কফিনে করে আমেরিকায় নিতে হবে এবং তখনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসন বুঝতে পারবে যে, তারা এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে এবং তারা নির্বাচনে পরাজিত হচ্ছে। ’

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে রোববার সন্ধ্যায় এক টেলিভিশন ভাষণে হাজার হাজার সমর্থকের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেছেন হাসান নাসরুল্লাহ।

প্রতিরোধকামী ফ্রন্টের সদস্যদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর অপরাধের উপযুক্ত শাস্তি হবে তাদের ঘাঁটিগুলো, যুদ্ধজাহাজ এবং সেনা সদস্যদের ওপর হামলা। আমেরিকা এই সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে তারা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।

হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, জেনারেল সোলায়মানি এবং ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের সেকেন্ড ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহান্দিসকে হত্যা করে আমেরিকা শুধু ইরাক ও ইরানের জন্য নয় বরং পুরো অঞ্চলের জন্য নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এর ফল পাবে ট্রাম্প।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর