ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ: ‘ধর্ষক চিহ্নিত’

ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ: ‘ধর্ষক চিহ্নিত’

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর কুর্মিটলা হাসপাতালের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে চিহ্নিত করেছে আহনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এখন তাঁকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্র বলেছে, বিষয়টি আরও যাচাই-বাছাই শেষে ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হতে পারলেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হবে। তদন্ত ও যাচাই-বাছাইয়ের স্বার্থে এখনই ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না বলেও সূত্রটি জানায়।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাবির নিজস্ব বাসে উঠে সন্ধ্যা সাতটার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামেন।

এরপর অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে মারধর করা হয়।

ঘটনাস্থলেই পড়ে থাকতে দেখা গেছে ওই ছাত্রীর ব্যবহৃত ইউনিভার্সিটির বই, চাবির রিং, ইনহেলার, ঘড়িসহ বেশ কিছু আলামত।

এই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন। মামলার এজাহার আজ মঙ্গলবার ঢাকার আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।

ছাত্রীর বাবার করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রাজধানীর শেওড়া এলাকায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে গত রোববার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে রওনা দেন ওই শিক্ষার্থী। রাত সাতটার দিকে বাসটি কুর্মিটোলায় থামে। বাস থেকে নেমে ওই শিক্ষার্থী ফুটপাত দিয়ে শেওড়ার দিকে হাঁটা শুরু করেন। গলফ ক্লাব মাঠসংলগ্ন স্থানে গেলে পেছন থেকে অজ্ঞাতনামা আসামি (বয়স ২৫ থেকে ৩০) তাঁর গলা চেপে ধরেন। এতে ওই ছাত্রী অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। পাশাপাশি মারধরও করা হয় তাঁকে।

আরও বলা হয়, ধর্ষণকারীর উচ্চতা পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি। গায়ের রং শ্যামলা। মাথার চুল ছোট। পরনে ছিল জিনসের পুরোনো ফুলপ্যান্ট। গায়ে ছিল কালো রঙের ফুলহাতা জ্যাকেট। ওই শিক্ষার্থীর ব্যাগ, দুই হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর