পল্লী বিদ্যুতের তারে ঝলসে যাচ্ছে বানর (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া বনাঞ্চলে পল্লী বিদ্যুতের কভার বিহীন তারে ঝলসে আহত হচ্ছে বানর। গত এক সপ্তাহে আট থেকে দশটি বানর ঝলসে গুরুতর আহত হলেও তা সমাধানে নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ। এতে হুমকির মুখে পড়েছে এসব প্রাণী।

বনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা বলছেন, বিদ্যুৎ বিভাগের খামখেয়ালিপনার কারণেই ঘটছে এই দুর্ঘটনা।

news24bd.tv

যদিও বিদ্যুৎ বিভাগের দাবি, নিয়ম মেনেই সংযোগ দেওয়া হয়েছে বনের ভেতর।  

আমাদের ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মধুপুর বনাঞ্চল ঘেঁষা ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ও নাওগাঁও ইউনিয়নের প্রায় ৮৬৩ দশমিক ১৪ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে প্রাকৃতিক বনাঞ্চল। প্রাকৃতিক নানা কারণসহ গাছ কেটে বন উজাড় করায় দিন দিন বন্যপ্রাণী হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে এ বনে প্রায় সাড়ে ৩০০ বানরের এখনো অবাধ বিচরণ রয়েছে।

news24bd.tv

বেশ কিছু দিন আগে বনের ভেতর দিয়ে টানা হয় পল্লী বিদ্যুতের কভারবিহীন হাইভোল্টেজ সংযোগ। এরপরই তারে জড়িয়ে ঝলসে যেতে থাকে বানরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ।

স্থানীয়রা বলছেন, বানরের খাবার সংকটের পাশাপাশি বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হবার ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছে প্রণীগুলো।

news24bd.tv

ওই এলাকার কয়েকজন জানিয়েছেন, কারেন্টে (বিদ্যুতে) সক করে যদি বান্দর মারা যায় তাহলে দর্শনার্থীরা বান্দর দেখতে পারবে না। কয়েকটি বান্দর আহত হয়ে পড়ে আছে। তারা চলাফেরা করতে পারে না।  

বন কর্মকর্তার দাবি, বানরের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে বিদ্যুৎ বিভাগকে আগে থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হলেও তারা আমলে নেয়নি।

ফুলবাড়িয়ার সন্তোষপুর বিট কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান খান জানান, পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগকে আগেই অবহিত করেছি ভূগর্ভস্থ লাইনে অথবা কাভার তারের মাধ্যমে সংযোগ দিতে।

news24bd.tv

কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে অন্য কথা।

নিয়ম মেনেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ফুলবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম অনিতা বর্ধন বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী ও জিএম’র অনুমোদনের পর তারপরই লাইন নির্মাণ হয়। অনুমোদনের পর ডিজাইন অনুযায়ী লাইন নির্মাণ করা আছে। বর্তমানে কোনো সমস্যা নেই ওখানে।

news24bd.tv

সন্তোষপুর বনাঞ্চলের বানরসহ অন্য বন্যপ্রাণী রক্ষায় দ্রুত প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে পল্লী বিদ্যুত ও বন বিভাগ। এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

আরও পড়ুন: বিদ্যুতের তারে ঝলসে যাচ্ছে বানর!

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)