‘যুক্তরাষ্ট্র দুধেল গাভী চায়, সৌদির মতো চায়’

‘যুক্তরাষ্ট্র দুধেল গাভী চায়, সৌদির মতো চায়’

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেল সোলাইমানি নিহতের ঘটনায় আজ বুধবার ইরাকের দুই মার্কিন ঘাটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে ৮০ মার্কিন সেনা নিহত ও ২০০জন আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি সামরিক ঘাঁটি- ইরবিল ও আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে এ হামলায় প্রায় ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানি বাহিনী।

এতে তাদের বিমান ও অন্য সরন্জামের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানায়।

এদিকে এ হামলাকে জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী।

ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পর এক সমাবেশে তিনি বলেছেন, আজ ভোরে যে প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে তা একটি চপেটাঘাত মাত্র।

‌‘গতরাতে একটি চপেটাঘাত করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গোটা অঞ্চলে মার্কিন সেনা উপস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, তারা এই অঞ্চলে যুদ্ধ, বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে এসেছে। বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো ধ্বংস করে দিচ্ছে।

সোরাইমানি হত্যার পর ইরাক সরকার মার্কিন সেনাদের বহিষ্কারের বিষয়ে সংসদে যে বিল পাস করেছে তারও প্রশংসা করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী।

‘ইরানের সংসদও মার্কিন বাহিনীকে সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ভালো করেছে। ’

আমেরিকার কোনো অপরাধ সহ্য করা হবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমেরিকা চায় ইরাকের সরকার ইরানের সাবেক পদলেহি সরকার অথবা বর্তমান সৌদি সরকারের মতো হবে।

‘তেলসমৃদ্ধ এই অঞ্চল তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে যাতে তারা যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। তারা দুধেল গাভী চায়। কিন্তু ইরাকের ঈমানদার তরুণ সমাজ এবং ধর্মীয় নেতৃত্ব এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। ’

‘জেনারেল সোলাইমানি এই বিশাল ফ্রন্টকে পরামর্শ দিয়েছেন। ’

লেবাননের ব্যাপারে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, লেবাননের বিষয়েও একই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায় আমেরিকা। তারা লেবাননিদের স্বাধীনতার প্রধান উপাদান ধ্বংস করতে চায়। তারা প্রতিরোধ শক্তিকে ধ্বংস করতে চায়।

আরও পড়ুন: ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার ভিডিও

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর