ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেবেন বলে ঘোষণা করে থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি সেটা করেননি। ইরানের ব্যালেস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র হামলা হজম করে ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় বুধবার সকালে তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়ে তার দায়িত্ব শেষ করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ঘোষণায় ইরানের প্রতিশোধমূলক কঠোর এই ক্ষেপনাস্ত্র হামলাকে অতি সাধারণ ব্যাপার বলে তুলে ধরার চেষ্টা করে বলেন, 'ইরানের হামলায় আমাদের কোনো মার্কিন সেনা হতাহত হয়নি এবং মার্কিন ঘাঁটিরও খুব সামান্য ক্ষতি হয়েছে। ' তিনি আরও বলেন, ;যথাসময়ে সাইরেন বেজে ওঠার কারণে মার্কিন ঘাঁটিগুলোর সেনারা নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ায় তাদের কোনো রকমের ক্ষতি হয়নি।
ইরান কোনো মার্কিন স্থাপনায় হামলা চালালে কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে ট্রাম্প হুশিয়ারি দিয়ে থাকলেও কাজের সময় এমন নিষ্ক্রিয় প্রতিক্রিয়া দেখালেন তিনি। এমনকি তিনি ইরানের ৫২টি স্থাপনা চিহ্নিত করার কথা উল্লেখ করে ইরানের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, 'এটি কোনো হুঁশিয়ারি নয়, এটা হুমকি। ' অর্থাৎ ইরান হামলা চালানোর সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন বাহিনী তেহরানের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বেই। কিন্তু বাস্তবে এমন কিছুই করলেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এছাড়া, ট্রাম্প এমন সময় মার্কিন বাহিনীর 'সামান্য' ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করে বসলেন যখন অন্যদিকে ইরাকের স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়ে যাচ্ছে যে ইরানের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটির মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি ও বহু সন্ত্রাসী সেনা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বুধবার ভোররাতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আইন আল-আসাদে ইরানের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৮০ মার্কিন সেনা নিহত ও ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ
