মার্কিন সেনাদের মনোবল ভাঙে ‘ইলেকট্রনিক যুদ্ধ’র পর

অনলাইন ডেস্ক

সোলাইমানির হত্যার প্রতিশোধ নিতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ইরানের সর্বচ্চো নেতা। এছাড়াও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ‘চূড়ান্ত জবাবে মার্কিনিদের পা কেটে নেওয়ার’ হুমকি দেন। হুমকির প্রমাণও দেন হামলা করে। সোলাইমানির জানাজার আগে ইরাকে দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে মার্কিন সেনাদের দিশেহারা করে দেয় ইরান।

ইরানের আইআরজিসি'র অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমির আলী হাজিযাদেহ জানান, মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ১৫ মিনিট পর আমরা ইলেকট্রনিক যুদ্ধ পরিচালনা করি। ফলে আমেরিকার ড্রোন ও বিমানগুলো কয়েক মুহূর্তের জন্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, আর এ ঘটনায় মার্কিন সেনাদের মনোবল ভেঙে যায় এবং হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। ইরানের হামলায় আমেরিকার আইন আল আসাদ ঘাঁটি কমান্ড সেন্টার ধ্বংস হয়ে গেছে।

এ কর্মকর্তা আরও জানান, ইরাকে দু'টি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলায় ইরান 'ফতেহ-৩১৩' এবং 'কিয়াম' ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ফতেহ শব্দের অর্থ হচ্ছে বিজয়ী এবং কিয়াম মানে জাগরণ। 'ফতেহ-৩১৩' ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা পাঁচশ' কিলোমিটার আর 'কিয়াম'-এর পাল্লা সাতশ' কিলোমিটার।

‘আমরা ইরাকে অবস্থিত দু'টি মার্কিন ঘাঁটিতে ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র মেরেছি, তবে আমরা প্রথম কয়েক ঘণ্টায় কয়েকশ' ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম উভয় পক্ষ সংযম না দেখালে যুদ্ধ সীমিত পর্যায়ে তিন দিন থেকে এক সপ্তাহ সংঘর্ষ চলবে। এ জন্য আমরা কয়েক হাজার ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রেখেছিলাম। ’

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর