ইরানের ভয়ে আমেরিকার ১২টি বিমান ও ড্রোন টহল দেয়

অনলাইন ডেস্ক

ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাশেম সোলেমানিকে হত্যার এক সপ্তাহ পূর্ণ হতে যাচ্ছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে এখনও উত্তেজনা চলছে। হত্যার পরদিন (গত শনিবার) রাতে বাগদাদের অতি সুরক্ষিত গ্রিন জোন এবং ইরাকের একটি বিমানঘাঁটিতে রকেট ও মর্টার হামলা হয়েছে। বালাদ বিমানবন্দরের কাছে বেশ কয়েকজনকে গুলি করা হয়।

ইরানের মসজিদের মিনারে মিনারে রক্তলাল ‘যুদ্ধপতাকা’ উড়িয়ে প্রতিশোধের ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির জনগণ। প্রতিশোধ হিসেবে ইরান ৩৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলার পরিকল্পনা করে। যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের ৫২টি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক স্থাপনায় হামলার হুমকি দেয়। এজন্য অবশ্য একযোগে ৫২টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানও উড়ায় যুক্তরাষ্ট্র।

কিন্তু যেই কথা সেই কাজ। সোলাইমানির হত্যার প্রতিশোধ নিতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত ইরান সোলাইমানির জানাজার আগে ইরাকে দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এতে ৮০ মার্কিন সেনা নিহত হয় বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানায়।

সেদিনের হামলার বর্ণনা দেন ইরানের আইআরজিসি'র অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমির আলী হাজিযাদেহ। তিনি বলেন, মার্কিন বাহিনী সেদিন (বুধবার) সতর্ক ছিল, তারা হামলার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন ছিল।

‌‘ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগ পর্যন্ত আমেরিকার ১২টি বিমান ও ড্রোন সব সময় ইরাকের আকাশে নানা তৎপরতা চালাচ্ছিল। তারা আমাদের চপেটাঘাতের অপেক্ষায় ছিল। থাপ্পড় খাওয়ার পর তারা কিছুটা শান্ত হয়েছে। ’

মার্কিন সেনারা কাবু হওয়ার ব্যাপারে তিনি জানান, মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ১৫ মিনিট পর আমরা ইলেকট্রনিক যুদ্ধ পরিচালনা করি। ফলে আমেরিকার ড্রোন ও বিমানগুলো কয়েক মুহূর্তের জন্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।

ইরানে 'ফতেহ-৩১৩' এবং 'কিয়াম' ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয় এ হামলায়। 'ফতেহ-৩১৩' ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা পাঁচশ' কিলোমিটার আর 'কিয়াম'-এর পাল্লা সাতশ' কিলোমিটার।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর