জেনারেল কাশেম সোলেমানিকে হত্যার পরদিন (গত শনিবার) রাতে বাগদাদের অতি সুরক্ষিত গ্রিন জোন এবং ইরাকের একটি বিমানঘাঁটিতে রকেট ও মর্টার হামলা করেছে ইরান। বালাদ বিমানবন্দরের কাছে বেশ কয়েকজনকে গুলি করা হয়। ইরানের মসজিদের মিনারে মিনারে রক্তলাল ‘যুদ্ধপতাকা’ উড়িয়ে প্রতিশোধের ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির জনগণ। প্রতিশোধ হিসেবে ইরান ৩৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলার পরিকল্পনা করে।
এদিকে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের একটিও ভূপাতিত করতে না পারায় মার্কিন বাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মার্কিনদের মিত্র ইসরাইলও রীতিমতো ভয়ে আছে। সূত্র জানায়, মার্কিনদের সব প্রতিরক্ষা ভেদ করে লক্ষে আঘাত হানে ইরানের ‘ফতেহ-৩১৩’ এবং ‘কিয়াম’। ‘ফতেহ-৩১৩’ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা পাঁচশ’ কিলোমিটার আর ‘কিয়াম’-এর পাল্লা সাতশ’ কিলোমিটার।
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে না পারার দুটি কারণ তুলে ধরেছে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা ‘দেবকাফাইল’।
গতকাল শুক্রবার এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। দেবকাফাইল ইরানের সফলতার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে না পারার কারণ হতে পারে- মার্কিন সেনাদের আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল অথবা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রকে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভূপাতিত করতে পারেনি অথবা এর দুটোই।
এছাড়াও ইরানের এই প্রতিশোধমূলক হামলা ইসরাইলের ওপর মারাত্মক রকমের প্রভাব ফেলেছে। এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ইসরাইল অনেক বেশি সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঝুঁকির মুখে পড়ল।
দেবকাফাইল বলছে, যদি ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মোকাবেলায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতা থাকে তাহলে আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্রের মডেলের ওপর ভিত্তি করে ইসরাইলের যে আগাম সতর্কীকরণ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে তার ভাগ্যও একইভাবে লিখিত হয়ে গেছে।
‘এ অবস্থায় ইসরাইল সরকারের উচিত হবে- আমেরিকা ও ইরানের মধ্যকার অস্ত্র প্রতিযোগিতায় তেল আবিব জড়িত নয় বলে জনগণকে বানানো গল্প না শুনিয়ে বরং ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সামনে ইসরাইল নিরাপদ নয় সেটা প্রকাশ্যে স্বীকার করা’
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)