যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সুলাইমানিকে হত্যার বিরুদ্ধে পাকিস্তানে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়েছে। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পেশোয়ার শহরে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমেছে। গতকাল জেনারেল সোলাইমানির ছবি সম্বলিত পোস্টার এবং ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে রাস্তায় নেমে ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রের ধ্বংস কামনা করে নানা স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকায় আগুন দেয়।
সেই সঙ্গে সোলাইমানি হত্যার পর ইরান এবং আমেরিকার উত্তেজনার ব্যাপারে পাকিস্তান সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করারও দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
এর আগে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, কোনো দেশের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর জন্য পাকিস্তানের মাটি কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। এছাড়া, আঞ্চলিক পর্যায়ের দ্বন্দ্বে পাকিস্তান কোনো পক্ষ নেবে না।
পাকিস্তানের এক টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে আসিফ গফুর বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো ধরনের সংঘাতে, কোনো পক্ষকেই আমাদের ভূমি ব্যবহার করতে দেব না।
‘ইরানি সেনা কমান্ডার হত্যায় আঞ্চলিক পরিস্থিতি বদলে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে প্রতিনিয়ত ভূমিকা রাখছে পাকিস্তান। আমরা আরও একটি যুদ্ধ দেখতে চাই না। ’
টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে আসিফ গফুর পাকিস্তানের জনগণকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহারের আহ্বান জানান।
‘পাকিস্তানি জনগণ ও গণমাধ্যমকে আমি সঠিক উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহারের অনুরোধ করছি। রাষ্ট্রবিরোধী উপাদানগুলোর দ্বারা যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে সেদিকে নজর দেবেন না। ’
এদিকে ইরানি সেনা নায়ক সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের নিয়ে পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি আলাদাভাবে সৌদি আরব, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশিকে ইরান, সৌদি আরব এবং আমেরিকা সফরের নির্দেশ দিয়েছেন যাতে আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানো যায়।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
