১৭৬ জনের প্রাণনাশ একটি 'মানবীয় ভুল': ইরান

১৭৬ জনের প্রাণনাশ একটি 'মানবীয় ভুল': ইরান

অনলাইন ডেস্ক

পশ্চিমাদের চাপে পরে শেষ পর্যন্ত ভুল স্বীকার করলো ইরান। তাদের ভুলবশত ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ১৭৬ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনের যাত্রীবাহী সেই বিমানটি। এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এ ঘটনাকে ‘মানবীয় ভুল’ আখ্যা দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন।  

এদিকে, হামলায় জড়িতদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

গত বুধবার তেহরানের ইমাম খামেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের মাত্র কয়েক মিনিট পর ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ মডেলের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৭৬ আরোহীর প্রত্যেকের মৃত্যু হয়।  

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে সেটার উপর। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে বিশ্ব জুড়ে।

মর্মান্তিক ঐ দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রথমে যান্ত্রিক ত্রুটিকেই সামনে রাখা হচ্ছিল।

তবে প্রথম থেকেই পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো দাবি করে আসছিল যে ভুল করে বিমানটি ভুপাতিত করে ইরান। বিমান বিধ্বস্তের এ ঘটনা নিয়ে ইরানকে দোষারাপ করে যুক্তরাষ্ট্রও। সে মুহূর্তে অভিযোগ অস্বীকার করেছিল ইরান।

তবে শনিবার এ ঘটনার দায় স্বীকার করে এক বিবৃতিতে ইরানের পরাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ জানিয়েছেন, সোলাইমানিকে হত্যার জেরে ওয়াশিংটনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে বিমানটি সামরিক স্পর্শকাতর স্থানে চলে আসায় সংকেত বাজতে শুরু করে, তখন ভুলবশত সেটাকে ভূপাতিত করা হয়।

এ ঘটনায় আরোহীদের পরিবার ও দেশের কাছে ক্ষমা চেয়েছে ইরান কর্তৃপক্ষ। জারিফের টুইটের পর হামলায় জড়িত থাকা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ