শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জিপিএ-৫ অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ দিলে হবে না। শিক্ষার্থীরা যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী ফলাফল অর্জন করলে সেটাই ভালো। শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে সহযোগিতা করা উচিত। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে চিন্তা করবার, সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধান করবার সক্ষমতা তৈরি করতে।
শিক্ষামন্ত্রী নাটোরের বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর উপজেলার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের
সংবর্ধনা এবং পিইসি ও জেএসসি’র দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
রোববার সকালে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কল্লোল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি বক্তব্য দেন।
উপজেলার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর উপজেলার ৬৬৫ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত
ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। তাদের সকলকে একটি করে ব্যাগ, ক্রেস্ট, সনদ ও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই দেওয়া হয়।
সংগঠনের সভাপতি ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশালের সংরক্ষিত আসনের এমপি সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীরা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত
সচিব সাইদুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ পিএএ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ, ফাউন্ডেশনের দাতা সদস্য আসিফ আব্দুল্লাহ শোভন বিন কুদ্দুস, সাধারণ সম্পাদক মিল্টন উদ্দিন প্রমূখ।
শিক্ষামন্ত্রী দেশে কোচিং বাণিজ্য ও অবাধে নোট বই বিক্রি করার বিষয়ে বলেন, কোচিং পুরোটাই খারাপ নয়। কোনো শিক্ষার্থী যদি ফলাফল খারাপ করে বা লেখাপড়ায় অমনোযোগী থাকে তাহলে তার জন্য শিক্ষকের বাড়তি মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন। তবে সেটার জন্য যদি টাকার বিনিময়ে কোচিং করতে বাধ্য করা হয় তা অন্যায়।
শিক্ষামন্ত্রী কোচিং বাণিজ্য ও নোট বই বিক্রি বন্ধ করতে প্রশাসনকে কঠোর হতে নির্দেশ দেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশ বরেণ্য শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
