হ্যারি ও মেগানের সিদ্ধান্তে সম্মতি দিলেন রানী

হ্যারি ও মেগানের সিদ্ধান্তে সম্মতি দিলেন রানী

অনলাইন ডেস্ক

সাসেক্সের ডিউক প্রিন্স হ্যারি ও ডাচেস মেগান মার্কেল রাজপরিবারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে কানাডায় চলে যাবার ঘোষণা দেওয়ার পর ব্রিটিশ রাজপরিবার এক সংকট দেখা দিয়েছিল।  

এ সংকটের মধ্যেই প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেন ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ। সোমবার ইংল্যান্ডের নরফক কাউন্টিতে সান্দ্রিংহাম প্রাসাদে রাজ পরিবার থেকে প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগানের বের হয়ে যাওয়া নিয়ে সংকট সমাধানে বৈঠকে বসে পুরো রাজ পরিবার।

রাজপরিবার ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে বৈঠকে রানী জানালেন, হ্যারি ও মেগানের ইচ্ছের প্রতি তার ‘পুরোপুরি সমর্থন’ রয়েছে।

কিন্তু রানী এখনও বিশ্বাস করেন, ওরা ‘রয়্যাল’ থেকে গেলেই ‘বেশি ভাল হত। ’ 

রানির জানান যে, হ্যারি ও মেগান এবার কানাডা ও ব্রিটেনে মিলিয়ে মিশিয়ে সময় ভাগ করে থাকবেন। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে এখনও বেশ কিছু প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে বলে জানান ৯৩ বছর বয়সী রানী। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

রানীর সঙ্গে কথা বলার কয়েক ঘণ্টা আগে হ্যারি এবং তার ভাই প্রিন্স উইলিয়াম জানান, তাদের মধ্যে কোনো রকমের দ্বন্দ্ব নেই। ব্রিটেনের একটি পত্রিকা দাবি করেছিল, মেগান আর হ্যারি নাকি বলেছেন, উইলিয়াম তাদের সঙ্গে ‘অপমানজনক আচরণ’ করেন। কিন্তু এই প্রতিবেদনের ভাষা ব্যবহার নিয়ে কড়া আপত্তি জানান দুই ভাই।

পত্রিকাটিতে ছাপা হয়, হ্যারির স্ত্রী মেগান নাকি বলেছেন, ব্রিটেনের রাজপরিবারে ২০ মাস থাকার পরে এবার সরে যেতে চান তিনি। সবকিছুর দায় তিনি চাপিয়ে দিয়েছেন হ্যারির বড় ভাই উইলিয়ামের উপরে। বড়দিনের সময়েই নাকি মেগান একবার বলেছিলেন, ‘এভাবে আমি আর পারছি না!’ 

সম্প্রতি হ্যারি এবং মেগান ঘোষণা করেন যে, তারা রাজপরিবারের দায়িত্ব থেকে অবসর নিতে চাচ্ছেন। একই সঙ্গে তারা যুক্তরাজ্য এবং উত্তর আমেরিকায় তাদের সময় ভাগাভাগি করে নিয়ে থাকতে চান।  

তাছাড়া আর্থিকভাবেও স্বাধীন হতে চান তারা, যেন রাজকোষের অর্থের ওপর তাদের নির্ভর করে থাকতে না হয়। এরপর থেকে ব্রিটিশ রাজপরিবারে এক অভূতপূর্ব সংকটের সৃষ্টি হয়।  

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ