ইউনেস্কো যৌথভাবে মুজিববর্ষ উদযাপন করবে: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

ইউনেস্কো যৌথভাবে মুজিববর্ষ উদযাপন করবে: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিসংঘের শিল্প, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে। একই সঙ্গে  জাতীয়, আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে ঢাকা-১১ আসনের এ কে এম রহমতুল্লাহের তারকাচিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করা হয়েছে।

শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও বাক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার অনন্য সাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২০ সালে ইউনেস্কো বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। জাতি হিসেবে আমাদের জন্য এটা অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিবার্ষিক ‘অ্যানিভার্সারি প্রোগ্রাম’-এর আওতায় ইউনেস্কো কোনও বিশেষ ঘটনার বা বিশিষ্ট ব্যক্তির জন্মের ৫০তম বা তদূর্ধ্ব অর্থাৎ ১০০তম, ১৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করে থাকে। এই প্রোগ্রামের আওতায় ইউনোস্কো ২০২০-২১ সালের জন্য ৫৯টি অ্যানিভার্সারি উদযাপনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।

যার মধ্যে অন্যতম হলো- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ইউনেস্কো কর্তৃক কোনও বিশেষ ঘটনা বা কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তির জন্মবার্ষিকী পালনের অন্যতম শর্ত হলো- ইউনেস্কোর ম্যানেন্ডভুক্ত বিষয়সমূহ শিক্ষা-সংস্কৃতি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও বাক-স্বাধীনতার সমুন্নতকরণে ওই ঘটনার বা ওই ব্যক্তির বিশেষ অবদান থাকা। কোনও দেশ এ বিষয়ে আবেদন করলে পরবর্তীতে সাধারণ সভায় গৃহীত হলে তা ইউনেস্কো কর্তৃক উদযাপিত হয়।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ইউনেস্কো নির্বাহী বোর্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ইউনেস্কোর সাথে যৌথভাবে উদযাপনের একটি প্রস্তাবটি ইউনেস্কো সাধারণ সভার ৪০তম অধিবেশনে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়।

এরপর গত ১৪ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে ইউনেস্কো সাধারণ সভায় ৪০তম অধিবেশনের প্রোগ্রাম এবং বাজেট সম্পর্কিত কমিশন কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর তারিখে প্লেনারি সেশনে তা চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়।

বঙ্গবন্ধুকে একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয় বরং সাধারণ মানুষের অধিকারের প্রতীক হিসেবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে উদ্যোগী হয়। বাংলার জনগণের শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, রক্ষা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবান্ধব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম ও উদ্যোগের স্বীকৃত হলো ইউনোস্কোর এই সিদ্ধান্ত।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল