চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি বেসরকারি ব্যাংকের চাপে রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী এনামুল হক (৬০) নিজের নামে লাইসেন্স করা একনলা বন্দুক দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৃত্যুর আগে ওই ব্যবসায়ী সুইসাইড নোট লিখে গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শহরের পুরাতন বাজারের মেসার্স সাজ্জাদ আহম্মদ এন্ড সন্স এর মালিক এনামুল হকের আত্মহত্যার ঘটনার জন্য ব্যাংকটির চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার লিগ্যাল অ্যাডভাইজার অ্যাডভোকেট একরামুল হক দায়ী বলে সাংবাদিকদের জানান প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মো. শাহীন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার মালিক এনামুল হককে কয়েকদিন আগে অ্যাডভোকেট একরামুল হক ব্যাংকের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখান।
এতেই তিনি হতাশ ও আতঙ্কিত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।এছাড়া নিহত ব্যবসায়ী এনামুল হকের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ব্যাংক ম্যানেজারের কারণেই তার ভাইয়ের এই পরিণতি ঘটেছে। সদর মডেল থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান জানান, নিহত এনামুল হকের সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই নোটে তিনি ব্যাংকের ঋণে হতাশ হয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ইঙ্গিত করে গেছেন।
তবে তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন ওসি।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার সময় স্থানীয় ঈদগাহ ময়দানে ওই ব্যবসায়ীর জানাজায় ব্যাংকটির ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহজাহান অংশ নিতে আসেন। এ সময় সামিউল হক লিটন নামের এক ব্যক্তি ব্যাংক ম্যানেজারের পক্ষে বক্তব্য দিলে জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ব্যাপারে ব্যাংক ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহজাহানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি টাকার জন্য কখনও চাপ বা হুমকি দেননি। বরং তিনি তাকে সহায়তার কথা বলেছিলেন।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে শহরের পুরাতন বাজারের মেসার্স সাজ্জাদ আহম্মদ এন্ড সন্স এর মালিক নিজের নামে লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়ে আত্মহত্যা করেন। গতকালই ঋণখেলাপীর দায়ে মামলায় তার হাজিরার দিন ছিল।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ