আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ১০

আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ১০

নাটোর প্রতিনিধি

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নাটোরের গুরুদাসপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে নাটোর জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।  

উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ওই সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা সোহেল রানা বাদি হয়ে ২২ জনের বিরুদ্ধে এবং আওয়ামীলীগ নেতা মিন্টু গ্রুপের আব্দুল লতিফ বাদি হয়ে ১৮ জনের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

এতে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাপিলা ইউনিয়নের মৃত মোজাহার আলীর ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি পদ প্রত্যাশী সোহেল রানা এবং আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোক্তাদিরুল ইসলাম মিন্টু বিশ্বাসের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় বাড়িঘর ভাংচুরসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

 

পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ঘটনার রাতেই মিন্টু গ্রুপের হাসান জাহিদ (৩৪), জাকির হোসেন (৩২), সুমন (২৭), নাদিম মোস্তফা (২১), তারেক (৩২), বাবু (৩৮), বুলবুল (৩২) ও ইয়াকুব বিশ্বাস (৪৯) এবং সোহেল রানা গ্রুপের আহাদ আলী (৩২) ও সম্রাট (৩০)-কে গ্রেফতার করে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সোহেল রানা বলেন, মিন্টু বিশ্বাসের ভাই সেন্টু বিশ্বাসের নেতৃত্বে ইয়াকুব বিশ্বাস, কবির মেম্বার, জিয়াউল মুন্সি তাদের দলবল নিয়ে প্রথমে তাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে নগদ ৬ লাখ টাকা লুট ও একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। সেই সাথে সোহেল রানার বিয়াই সানাউল্লা, রেজাউল ও সাইদুলের বাড়িঘর ভাংচুর করে।

মিন্টু বিশ্বাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাদের লোকজনকে শান্ত করেছি। বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের কোন ঘটনা ঘটেনি।

এ ব্যাপারে চাপিলা ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আলাউদ্দিন ভুট্টু বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের নির্দেশে নাজিরপুর ও বিয়াঘাট ইউপি চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু ও প্রভাষক মোজাম্মেল হকসহ চেষ্টা করেও বিষয়টি মিমাংসা করা যায়নি।

পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে দাবি করে গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে। আইন শৃংখলার অবনতির চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল