পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ সাড়ে ৮৫ শতাংশ সম্পন্ন

পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ সাড়ে ৮৫ শতাংশ সম্পন্ন

অনলাইন ডেস্ক

পদ্মা বহুমুখী মূলসেতুর ৮৫ দশমিক ৫ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে ফাস্ট ট্র্যাক মনিটরিং কমিটি। রোববার (১৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফাস্ট ট্র্যাক মনিটরিং কমিটির পঞ্চম সভায় এ তথ্য জানানো হয়। পদ্মা সেতুসহ ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত ১০টি প্রকল্পের প্রতিটির অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয় এ সভায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পদ্মা বহুমুখী প্রকল্পের প্রকল্পের পুরো কাজের ৭৬ দশমিক ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলেও জানানো হয় সভায়।

পদ্মা বহুমুখী প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরে সভায় জানানো হয়, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় জাজিরা প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ-৯১%, মাওয়া প্রান্তে এপ্রোচ রোডের কাজ-১০০%, সার্ভিস এরিয়া(২)-১০০%, মূল সেতু নির্মাণ কাজ ৮৫.৫০% এবং নদীশাসনের কাজ ৬৬% শেষ হয়েছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৬.৫০% শেষ হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্টের প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে জানেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।

পদ্মাসেতুর কাজের অগ্রগতির জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ঝামেলা গেছে আপনারা জানেন। আমরা আনন্দিত অর্ধেকের বেশি হয়ে গেছে। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটারের মতো হয়ে গেছে। ’

এ প্রসঙ্গে পদ্মানদীর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই সেতুটা করার সময় নদীশাসন করে আমি কিন্তু নদী ছোট করতে দেইনি। পদ্মা নদীর চরিত্র সম্পর্কের কারও জানা নেই। এই নদীটা অসম্ভব ভাঙনপ্রবণ। এখানে বাঁধ দিয়ে ছোট করতে গেলে এই নদী মানবে না। আমাদের ব্রিজটাই বড় করতে হবে। এখানে জায়গাও রাখতে হবে বাপার জোনও থাকবে। যাতে বন্যার পানিটা ধারণ করতে পারে। ’

সরকারের ধারাবাহিকতার সুফল তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিটি কাজ যখন সরকারের ধারাবাহিকতা থাকে না তখন কাজগুলো নষ্ট হয়। ’

টানা তিন বার আওয়ামী লীগকে দেশ পরিচালনার সুযোগ দেওয়ার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ যে অন্তত তারা আমাদের এইটুকু সুযোগ দিয়েছে। যে আমরা পর পর এবার নিয়ে তৃতীয় বার এসেছি। তাতে আমাদের উন্নয়নের কাজগুলো সেগুলো বাস্তবায়নও করতে পারছি এবং মানসম্মতও করতে পারছি। ’

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট সচিব ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভার সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল