নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা পঞ্চম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীকে গর্ভপাত করানো হয়েছে বলে কওমী মাদ্রাসার এক সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
গর্ভপাতের পর শিক্ষার্থীর অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হলে তাকে প্রথমে কিশোরগঞ্জে পরে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটানার পর রোয়াইল বাড়ি কওমী মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার আ. হালিম সাগর (৩৫) পরিবারসহ এলাকা ছেড়েছেন।
নেত্রকোনা আধুনিক হাসপাতাল সূত্র ও ছাত্রীর পরিবার জানায়, শিশুটি রোয়াইলবাড়ি কওমী মহিলা মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তো।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার দুই সন্তানের জনক আ. হালিম সাগর প্রায় চার মাস আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ব্যাপারটি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেন তিনি।পরে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হলে সুপার তাকে দু'মাস পূর্বে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ান। গত পরশু পুনরায় শিশুটিকে কলা খাওয়ালে তার গর্ভপাত ঘটে।
আজ সোমবার সকালে ডাক্তার, ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার এবং হাসপাতলের নারীবান্ধব পর্যবেক্ষকরা কাউন্সিলিং শুরু করেন।
এ ব্যাপারে শিশুর বাবা কেন্দুয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দিয়েছেন।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত সুপার এলাকা থেকে পলাতক রয়েছে। ওই সুপার জেলার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের চর আমতলা কোনাবাড়ী গ্রামের ফারুখ মিয়ার ছেলে। তিনি কয়েক বছর আগে রোয়াইলবাড়ি বাজার সংলগ্ন একটি কওমী মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে সুপারের দায়িত্ব পালন করেন।
হাসপাতলের আবাসিক মেডিকেল অফিসার অরএমও একরামুল হাসান বলেন, তারা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন। শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো আছে। এছাড়া মানসিক অবস্থার জন্য কাউন্সিলিং করছেন।
কেন্দুয়া থানার ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন, থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)