পাসপোর্ট মিলবে তিন দিনে

পাসপোর্ট মিলবে তিন দিনে

অনলাইন ডেস্ক

এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামীকাল বুধবার (২১ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ই-পাসপোর্টের এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘প্রথমে উত্তরা, যাত্রাবাড়ী এবং আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে এ কার্যক্রম শুরু হবে। ২০২০ সালের মধ্যে দেশের সর্বত্র ই-পাসপোর্ট চালু হবে।

বাংলাদেশে প্রথম ই-পাসপোর্ট পাবেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী। এই পদ্ধতি চালু হলে প্রতিদিন ২৫ হাজার পাসপোর্ট ইস্যু করা যাবে। ’

‘এরই মধ্যে সবার কাছে আমরা এমআরপি পাসপোর্ট পৌঁছে দিয়েছি। ই-পাসপোর্ট চালু হলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে।

ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে মেশিনে একজন ব্যক্তির প্রকৃত তথ্য মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যাচাইয়ের সুবিধা রয়েছে। পাসপোর্ট অধিদফতর ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে এই কাজ করছে। ’

তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় ই-পাসপোর্ট করার গৌরব এখন একমাত্র বাংলাদেশের। এটি মুজিববর্ষের উপহার। আবেদনপত্র ডাউনলোডের পর পূরণ করে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে ছবি ও সত্যায়িত কিছু লাগবে না। তবে পুলিশ ভ্যারিফিকেশন লাগবে। পাঁচ ও ১০ বছর মেয়াদী ৪৮ এবং ৬৪ পাতার ই-পাসপোর্ট ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ ভিন্ন ভিন্ন ফি দিয়ে পাওয়া যাবে। ’

নতুন পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অতি জরুরি তিনদিনে, জরুরি সাতদিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ২১ দিনের পাসপোর্ট পাওয়া যাবে।

তবে পুরনো অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে অতীব জরুরি পাসপোর্ট দুদিনে, জরুরি পাসপোর্ট তিনদিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট সাতদিনের মধ্যে দেওয়া হবে। ’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ডিজিটালাইজড আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর নিবন্ধন রয়েছে। কাজেই তথ্য গোপন করে কোনো রোহিঙ্গার ই-পাসপোর্ট গ্রহণের সুযোগ নেই। তারপরও রোহিঙ্গারা যদি বিভিন্ন ধরনের ফাঁক-ফোকরের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট করতে যায়, তাহলে বিভিন্ন প্রশ্নে তারা ধরা পড়ে যাবে। ’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৩৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৫৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫০০০ টাকা, জরুরি ফি ৭০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯০০০ টাকা জমা দিতে হবে।

এছাড়া ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৭০০০ টাকা, জরুরি ফি ৯০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১২০০০ টাকা জমা দিতে হবে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর