ছেলেকে মাটি চাঁপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করলেন মা!

ছেলেকে মাটি চাঁপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করলেন মা!

অনলাইন ডেস্ক

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটি এলাকায় ফাহিম হোসেন নামের দুই বছরের শিশুকে জীবন্ত মাটি চাঁপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে পাষণ্ড মা শামিমা আক্তার বন্যা। রোববার দুপুর আড়াই টার দিকে অমানবিক এ ঘটনাটি ঘটে। পরে স্থানীয় গ্রামবাসী শিশু ফাহিমকে উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রতিবেশী শাহিনুর রহমান জানান, শামিমা আক্তার বন্যা পুষ্পকাটি গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের মেয়ে।

কয়েক বছর আগে সদর উপজেলার কালিন্দি ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত. আব্দুল হাইয়ের ছেলে আর্মড পুলিশ শিবলুর সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বর্তমানে শিবলু আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ানে কর্মরত রয়েছেন।

তিনি বলেন, বিয়ের আগে উপজেলার দক্ষিন আলীপুর গ্রামের খবিরউদ্দীনের ছেলে সুজন হোসেনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল শামীমা আক্তার বন্যার। ঘটনাটি জানতে পেরে বিয়ের পরে বিভিন্ন সময় স্বামী ও তার পরিবারের সঙ্গে মনোমালিন্য শুরু হয়।

এরই মধ্যে জন্ম নেয় পুত্র সন্তান ফাহিম। মনোমালিন্যের কারণে শিশু ফাহিমকে নিয়ে বন্যা পুষ্পকাটিতে বাবার বাড়িতে চলে আসে। এরপর দীর্ঘ সময় বন্যার সঙ্গে যোগাযোগ করেন না স্বামী আর্মড পুলিশ সদস্য শিবলু।  

অন্যদিকে, বন্যার মায়ের সঙ্গে কুলিয়ার হামজা মেশিনারিজের মালিক আলী হামজার পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে চলতি বছরেই পারিবারিক কলোহ জোরালো হয়ে উঠে। একপর্যায়ে বন্যার বাবা ইব্রাহিম সংসার ত্যাগী হয়ে কর্মসংস্থানের খোঁজে বিদেশে চলে যান।  

মায়ের পরকীয়ায় বাঁধা দিতে গিয়েও প্রতিনিয়ত মায়ের নির্যাতনের শিকার হতে হয় বন্যাকে। একদিকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতন অন্যদিকে পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় মায়ের নির্যাতন। এতে হতাশা ও মানসিক যন্ত্রনায় অতিষ্ট হয়ে রোববার দুপুরে বাড়ির আঙিনায় গর্ত খুড়ে শিশুপুত্র ফাহিম হোসেনকে জীবন্ত মাটি চাঁপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে বন্যা। প্রতিবেশী লিয়াকাতের স্ত্রী ঘটনাটি দেখতে পেয়ে গর্ত থেকে শিশু ফাহিমকে উদ্ধার করে।

এদিকে, এ ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সোমবার বিকেলে ঘটনাটির বিস্তারিত জানতে সংবাদকর্মীরা হাজির হলে শিশু ফাহিমকে ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করে রেখে বন্যাসহ বাকিরা পালিয়ে যায়।

বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় শিশু ফাহিমের মা শামীমা আক্তার বন্যার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে, বাবা আর্মড পুলিশ সদস্য শিবলুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোনকল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমারা সাহা বলেন, ঘটনাটি আমাকে কেউ অবহিত করেন। খোঁজ খবর নিচ্ছি।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল