৫ মিনিটেই কমবে পেটের মেদ

৫ মিনিটেই কমবে পেটের মেদ

ডা. জাহাঙ্গীর কবির

'মেদ ভুড়ি, কী করি?' স্লোগান লেখা মেদ কমানোর বিজ্ঞাপন হরহামেশা পত্র-পত্রিকা, লিফলেটে দেখা যায়। পেটের মেদ নিয়ে সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। কারণ পেটের মেদের জন্য নারী কিংবা পুরুষ সবারই দৈহিক সৌন্দর্য্যে ব্যাঘাত ঘটে। তাই পেটের মেদ কমানোর স্বপ্ন দেখেন অনেকেই।

মেদ কমানো বললেই কি মেদ কমানো যায়? পেটের মেদ যদি সত্যি কমাতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে মানতে হবে কিছু পরামর্শ। মাত্র পাঁচ মিনিটেই কমে যাবে অনেকখানি পেটের মেদ। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই পদ্ধতি।  এজন্য আপনাকে করতে হবে হিট এক্সেসাইজ।

কখন করবেন?
ব্যয়ামটি করতে হয় সকাল বেলা। সবচেয়ে ভালো সময় সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে। যখন প্রাকৃতিকভাবে শরীরে স্টোরেজটা বেশি থাকে। ফিট এক্সেসাইজ করার সময় শরীরে স্টোরেজ রিলিজ হয়। আর এই স্টোরেজ যে শরীরের জন্য খারাপ তা নয়, এটা শরীরের জন্য ভালো। এই স্টোরেজ কি পরিমাণ রিলিজ হচ্ছে? কতক্ষণ রিলিজ হচ্ছে? কি পরিমাণ শরীরে থাকছে সেটা জানা জরুরি। যেহেতু প্রাকৃতিকভাবে সকালে শরীরে স্টোরেজ বেশি থাকে তাই ব্যয়ামটা সকালে করলে বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে।

হিট এক্সেসাইজ করলে অনেকগুলো সুবিধা আছে। একটা হলো- যেটা মাসলকে সংরক্ষণ করবে কিন্তু ফ্যাট বার্ন করবে। সোজা কথায় পেশির ক্ষতি না করে চর্বি গলাবে।

শরীরে খুবই দরকারি গ্রোথ হরমোন। যেটা বাচ্চাদের প্রচুর পরিমাণ থাকে, যার কারণে বাচ্চারা ক্লান্ত হয় না। তারা প্রচুর দুষ্টমি করে কিন্তু ক্লান্ত হয় না। আর বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এটা আস্তে আস্তে কমে যায়। এই কারণে এটাকে যদি আমরা বুস্টআপ করি তাহলে এটা আমাদের চর্বি গলাতে সহায়তা করে।

হিট এক্সেসাইজ করলে ঘুমটাও অনেক ভালো হয়। খালি পেটে ঘুমাতে যান। মানে ৭টা - ৮টার মধ্যে ঘুমাতে যান। এরপর সকালে যখন খালি পেটে হিট এক্সেসাইজ করতে যাবেন তখন শরীরে ইনসুলিনের মাত্রাটা কম থাকবে। আর শরীরে ইনসুলিন কম থাকলে ফ্যাট কমাতে ভালো হয়। হিট এক্সেসাইজ করার পর যদি শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া হয়, তাহলে তা সরাসরি শরীরে ঢুকে যায়। তখন ইনসুলিনের সাহায্য ছাড়াই গ্লুকোজটা রক্ত থেকে সরাসরি কোষে ঢুকতে পারে। তবে লিভারের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ভিন্ন।  

কীভাবে করবেন?
প্রথমে ওয়ার্মআপ এক্সেসাইজ করুন। কারণ এটা অনেক হাই ইনটেনসিটিতে করতে হয়। এটা রানিং মেশিনে এবং সাইকেলে করতে পারেন। অথবা দৌড়ানো যেতে পারে। তবে দৌড়ানোর আগে জগিং করে নিতে হবে। শরীরটাকে ভালো করে ওয়ার্মআপ করে নিতে হবে। এরপর যত জোরে পারেন দৌড় দিবেন। মনে করতে পারেন পাগলা কুকুর দৌড়ানি দিয়েছে। মাত্র ২০ সেকেন্ড দৌড়ানোর পর ১০ সেকেন্ড রেস্ট নিতে হবে। আবার ২০ সেকেন্ডে দৌড় দেয়ার পর ১০ সেকেন্ড রেস্ট নিতে হবে। এভাবে ৩ থেকে ৫ মিনিট ব্যয়াম করতে হবে। তবে সময় কম বেশি হতে পারে। এভাবে শরীরে গ্রোথ হরমোন বেড়ে যাবে। কিন্তু এই গ্রোথ হরমোন শরীরে ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় থাকে না। পেটের চর্বি, প্রেসার, রক্তনালীর চর্বি এবং ডায়াবেটিক একইভাবে কমানো সম্ভব।   

(ফ্যামিলি মেডিসিন, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা এবং শ্বাস- রোগ বিশেষজ্ঞ)

বিস্তারিত এই লিংকে:

(ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত)

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর