অবশেষে ভাঙা শুরু বিজিএমইএ ভবন

অবশেষে ভাঙা শুরু বিজিএমইএ ভবন

অনলাইন প্রতিবেদক

অবশেষে রাজধানীর হাতিরঝিলের ক্যান্সারখ্যাত বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রফতানিকারকদের সংগঠনের (বিজিএমইএ) বহুতল ভবনটি ভাঙার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি, ২০১৯) সকালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ভবন ভাঙার কাজ উদ্বোধন করেন।  এরপর ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে ভাঙার কাজ শুরু করে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর এই ভবন থেকে যাবতীয় কার্যক্রম এ বছরের শুরুতে ঢাকার উত্তরায় নতুন ভবনে সরিয়ে নিয়েছিল বিজিএমইএ।

১৯৯৮ সালে সরকারের কাছ থেকে জমি পেয়ে কারওয়ান বাজারের হাতিরঝিলে ভবন গড়ে তুলেছিল বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। জলাধার আইন লঙ্ঘন করে ভবনটি তোলায় ২০১১ সালে তা ভেঙে ফেলার রায় আসে হাইকোর্ট থেকে। পরে আপিল বিভাগও সে রায় বহাল রাখেন। news24bd.tv

বিজিএমইএ ভবনটিকে সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিলের ‘ক্যান্সার’ আখ্যায়িত করেছিল হাইকোর্ট।

রায়ে বলা হয়েছিল, ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হিসেবে বিজিএমইএ'র আইনের প্রতি আরও বেশি শ্রদ্ধাশীল হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। তারা তা না করে আইনকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছে। ’

আদালতের রায়ের পর ভবন খালি করতে কয়েক দফা সময় নিয়েছিল বিজিএমএইএ। এরপর গত এপ্রিলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ভবনটিতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এরই মধ্যে ভবনটি ভাঙার এবং ব্যবহারযোগ্য মালামাল কিনতে আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। আগ্রহীদের ২৪ এপ্রিল বিকাল ৪টার মধ্যে রাজউক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করতে বলা হয়।

তিন মাসের মধ্যে ভবন ভাঙার শর্ত দিয়ে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বহুতল ভবন ভাঙার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ভাঙার ব্যাপারে ক্রেতাকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। রাজউকের ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পাঁচটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব জমা দেয়। সবকিছু যাচাইবাছাই শেষে ফোর স্টার নামে প্রতিষ্ঠানটিকে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

রাজউকের কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভবন ভাঙার জন্য আলাদা কোনো অর্থ পাবে না। দুটি বেইজমেন্টসহ ১৫তলা বিজিএমইএ ভবন ভাঙার পর ব্যবহারযোগ্য মালামাল বিক্রি করে তারা তাদের খরচ ও লাভ উঠিয়ে নেবে।

প্রথমে ভাবা হয়েছিল এক্সপ্লোশনের মাধ্যমে ভবনটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত হয় সনাতন পদ্ধতিতে ভাঙার। এতে ভবনে ব্যবহৃত কয়েক কোটি টাকার রডসহ বিভিন্ন দামি সরঞ্জাম রক্ষা পাবে বলে জানায় রাজউক।