‘ইশরাক ও তাবিথের ওপর আক্রমণ হয়েছে’

‘ইশরাক ও তাবিথের ওপর আক্রমণ হয়েছে’

অনলাইন ডেস্ক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, ঢাকাকে আধুনিক নগর হিসেবে গড়ে তুলতে আপনাদের প্রিয় নেতা সাদেক হোসেন খোকার জ্যেষ্ঠ সন্তান ইশরাক হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকাবাসীর জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনে ঢাকাবাসী তাদের আগামী দিনের নেতা নির্বাচিত করবেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে হাইকোর্ট গেটে দাঁড়িয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের এই তরুণ নেতা যিনি ইতোমধ্যে দেশবাসীর দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছেন তার সাহসী বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে।

তার বক্তব্য প্রমাণ করেছে যে তিনিই একমাত্র নেতা যিনি ঢাকা সিটি করপোরেশনকে নেতৃত্ব দিতে পারেন।

সরকার নির্বাচনকে ছেলে খেলার দিকে নিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকার ইভিএম-এ নির্বাচন করতে যাচ্ছে। কারণ তারা জানে ইভিএম ছাড়া তাদের নির্বাচন করা সম্ভব না। আমরা বারবার ইভিএমের বিরোধিতা করেছি।

তারপরও আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমরা জানি জনতার মধ্যে যে জোয়ার উঠেছে, ইশরাক মানুষের মধ্যে যে ভালোবাসা সৃষ্টি করেছেন সেই ভালোবাসার শক্তি নিয়ে এই সরকারের সমস্ত অপকৌশলকে বিলীন করে দেবেন।   

এই নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে পক্ষপাতদুষ্ট হচ্ছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা দেখেছেন নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকে ইশরাকের ওপর আক্রমণ হয়েছে। তাবিথের ওপর আক্রমণ হয়েছে। মঙ্গলবার উত্তরের প্রার্থী তাবিথের ওপরে শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। আমরা নিন্দা জানিয়েছি ও প্রতিবাদ করছি। ‌

‘এখন পর্যন্ত এই ঠুঁটো জগন্নাথ নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের আহ্বান জানাচ্ছি। ’

ইশরাক হোসেন বলেন, আজ পরিবর্তন দরকার। এই সরকার গত ১৩ বছর ক্ষমতায় থেকে কী করেছে। ঢাকা আজ পৃথিবীতে সবচেয়ে বসবাসের অযোগ্য তালিকায় এক নম্বরে। বায়ুদূষণের তালিকায়ও আমরা এক নম্বরে। এই যে ঢাকাকে তিলে তিলে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, তার কারণ হচ্ছে এই সরকারের জবাবদিহিতা নেই, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। তারা পুলিশ প্রশাসনের ক্ষমতা ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসেছে। তাদেরতো জবাবদিহিতা থাকার কথা নয়। আজ প্রশাসনকে দলীয়করণ করে ফেলা হয়েছে। তাদের ওপর ভর করে সরকার টিকে আছে।

‘আমার বাবা একজন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, উনি বলতেন, ১৯ বছর বয়সে অস্ত্র হাতে ঢাকা শহরে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার কারণে মুক্তিযুদ্ধ হয়। ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পাই। স্বাধীন বাংলাদেশের মূলমন্ত্র ছিল জনগণ হবে রাষ্ট্রের মালিক। সব ক্ষমতার মালিক হবে জনগণ। ১ ফেব্রুয়ারি ভোটের মাধ্যমে জনগণের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে চাই। এজন্য যদি আমাকে জীবন দিতে হয় দেব। আমি কাউকে ভয় করি না। ’

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর