সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমায় ব্যাংক হতে ঋণ বেড়েছে: অর্থমন্ত্রী

ফাইল ছবি

সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমায় ব্যাংক হতে ঋণ বেড়েছে: অর্থমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের ধীর গতি দেশের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে না। সরকারি মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং বেসরকারি ঋণ প্রবাহে গতি সঞ্চার হবে।  

সঞ্চয়পত্র বিক্রির ক্ষেত্রে সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের ফলে তার বিক্রি কমে গেছে। ফলে ব্যাংক ব্যবস্থা হতে সরকারের ঋণ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদন উপস্থাপন করে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।  

তিনি প্রথম প্রান্তিক পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি সংসদে উত্থাপন করেন।

প্রতিবেদনে ঋণ প্রবাহ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, মুদ্রার প্রবৃদ্ধি ২.১২ মতাংশ কম হয়েছে। সরকারি ঋণ প্রবাহ বেড়েছে।

বেসরকারি ঋণ প্রবাহ কমেছে।

প্রতিবেদনে ব্যাংকের সুদ হার প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে আমানত ও ঋণের সুদের হার কিছুটা বেড়েছে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আমানতের সুদ হার ছিল ৫.২৭ শতাংশ।  

গত বছর তা বেড়ে হয়েছে ৫.৬৫ শতাংশ। একই সময়ে ঋণের সুদের হার ৯.৫৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯.৫৬ শতাংশ। সরকারি ব্যাংক ঋণের সুদের হার কম থাকলেও বেসরকারি ব্যাংক ও বিদেশি ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধির কারণে সামগ্রিকভাবে ব্যাংকখাতে ঋণের সুদের হার বেড়েছে।

দেশের মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, মুদ্রাস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার গুরুত্ব দিয়ে আসছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে খাদ্য বহির্ভূত মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা কমেছে। চলতি অর্থবছরের মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা ৫.৫ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে।  

গত বছরের সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫.৪ শতাংশ। খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৫.৩৮ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত মুদ্রাস্ফীতি ৫.৬৭ শতাংশ। বিগত অর্থবছরে একই সময়ে সার্বিক মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৫.৬৮ শতাংশ। খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৬.৭৪ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৪.০৭ শতাংশ।

বাজেট ঘাটতি প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেট প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৪.৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছর শেষে মোট বাজেট ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫.২ শতাংশ। ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সূত্র হতে ১.০৫ শতাংশ এবং অভ্যন্তরীণ সূত্র হতে জিডিপির ৩.৯৩ শতাংশ অর্থায়ন করা হয়েছে ।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল