স্ত্রীর সহযোগিতায় শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে সাভারের এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সেই সঙ্গে ঝর্ণা আক্তার নামে দুই বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ রোববার বেলা ১২ টার দিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার সাগর দিপা বিশ্বাস।
গ্রেপ্তার দম্পতি হলেন- মো. সাহেব আলী (৩৪) ও তার স্ত্রী জেসমিন খাতুন (২৫)।
সাহেব আলী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার পুরদনপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।গতকাল শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে সাভার থানাধীন ব্যাংক কলোনী এলাকায় র্যাব-৪ এর একটি চৌকস দল অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারকৃত দম্পতি হলেন ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার পুরদনপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে মো: সাহেব আলী ও তার স্ত্রী জেসমিন খাতুন। উদ্ধার হওয়া শিশু ঝর্ণা আক্তার আটক জেসমিন খাতুনের ভাই মো: রুবেলের মেয়ে।
র্যাব-৪ সূত্রে জানা গেছে, সাহেব আলী দম্পতি তাদের সন্তানকে পড়াশোনা করানোর জন্য ভুক্তভোগী কিশোরীকে সিলেট থেকে সাভারে নিয়ে আসে। পরে ভুক্তভোগীর বড় বোন জেসমিন খাতুন ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে এবং পরবর্তীতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে নিয়মিত তার স্বামীকে দিয়ে নিজের বোনকে ধর্ষণ করতে সহযোগিতা করে। একসময়ে ভুক্তভোগী কিশোরী তার বাবা-মাকে জানায়। পরে কিশোরীর বাবা-মা তাকে নিয়ে সিলেটে চলে যায়।
কিছুদিন পর ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর ষড়যন্ত্র করে ভুক্তভোগীর বড় ভাইয়ের দুই বছরের শিশুকে সিলেট থেকে অপহরণ করে নিয়ে আসে।
খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় ও দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার সাগর দিপা বিশ্বাস জানায়, এ বিষয়ে সাভার থানায় একটি মামলা হয়েছে । মামলাটি ভুক্তভোগী কিশোরীর বড় ভাই রুবেল নিজে দুইজনের নামে করেছেন।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)