শরীয়তপুর জেলায় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে (২০১৮) কোটা অবলম্বন না করায় ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
গত ২০ জানুয়ারি ২০২০ নিয়োগ বঞ্চিত মেরাজু আক্তার ও মো. আলমগীরসহ ২১ জন হাইকের্টে রিট আবেদন করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ আতিয়ার রহমান ও পারভেজ রহমান।
নিয়োগ বঞ্চিত মো. আলমগির বলেন, কোনো কোটা না মেনে আমাদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে, নিয়োগ বিধিমালা অমান্য করা হয়েছে, শরীয়তপুর সদরে ৩৩ জন নিয়োগ পেয়েছে, এদের ১৫ জনই রহস্যজনকভাবে হিন্দু। আমি এই নিয়োগে কোটা অবলম্বনের দাবি জানাচ্ছি।
মেরাজু আক্তার বলেন, ১০ শতাংশ আনসার কোটা তার মধ্যে একজনও এই কোটা থেকে নিয়োগ পায়নি।
রিট পিটিশনারদের আইনজীবী আতিয়ার রহমান জানান, এই নিয়োগে নারী, পৌষ্য, আনসার কোটা সহ কোনো কোটাই মানা হয়নি।
অ্যাডভোকেট আরিফ রহমান জন বলেন, ২০ শতাংশ পৌষ্য কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা বঞ্চিত হয়েছে। এই নিয়োগ সংশোধন করা হলে নিয়োগ বঞ্চিতরা ন্যায্য অধিকার পাবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার কাছে এখনো কোনো চিঠি আসেনি। চিঠি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য গত ২৪ ডিসেম্বর (২০১৯) শরীয়তপুরসহ সারা দেশে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (২০১৮) এর ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে শরীয়তপুরে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১১৮৭ জনের মাঝে সহকারী শিক্ষক পদে ৩৮৫ জন উত্তীর্ণ হন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)