‘তাফসির মাহফিল করতে গেলে নিষেধাজ্ঞা আসছে’‌

‘তাফসির মাহফিল করতে গেলে নিষেধাজ্ঞা আসছে’‌

অনলাইন ডেস্ক

‘ওয়াজ মাহফিলে বাধা প্রদান’ ইস্যুতে আজ সংসদে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদের অভিযোগ, দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারের পক্ষ থেকে ওয়াজ মাহফিলে বাধা দেওয়া হচ্ছে।  আবার তার অভিযোগের ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা।

আজ বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনা চলাকালে এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

বেশ কিছু সময় ধরে হৈ-হট্টগোল চলে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ আলোচনার সূত্রপাত করতেই সরকারদলীয় সদস্যদের তোপের মুখে পড়েন।  

হট্টগোলের মধ্যে তার বক্তব্যের জবাব দেন সরকারদলীয় সদস্য সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ ও বর্তমান হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।

হারুনুর রশীদ বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি সংশোধিত সংবিধানের পূর্বে সর্বশক্তিমান আল্লাহ’র প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসী হবে এবং যাবতীয় কাজের ভিত্তি এটিই হবে।

তবে নতুন সংশোধিত সংবিধান থেকে এটা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম হিসেবে রাখা হয়েছে। সংবিধানের প্রস্তাবনায় পূর্বে ছিলো ‘বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিম’, সেটির পরিবর্তে সংযোজিত হয়েছে দয়াময় পরম দয়ালু আল্লাহ’র নামে / পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার নামে। বিষয়টিতে আপত্তিকর। সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিমের প্রকৃত অর্থ সংযোজিত হওয়া উচিত।

তিনি আরো বলেন, কয়েক দিন ধরে সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় একটা বিষয় নিয়ে বির্তক করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন তাফসির মাহফিলে যে আলোচনা হচ্ছে, কোরআন হাদিসের আলোকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন তাফসিরগণ আলোচনা করছেন। সেই সমস্থ আলোচনা নিয়ে আপত্তিজনক অসংলগ্ন কথা বার্তা বলা হচ্ছে। এটা ঠিক হচ্ছে না।

তিনি বলেন, দেশে হিন্দু-বৌদ্ধ -খ্রিষ্টানরা সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারা তাদের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। অথচ ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা তাফসির মাহফিল করতে গেলে নিষেধাজ্ঞা আসছে। এতে মুসলমানদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে।

তার বক্তব্যের জবাব দিয়ে সাবেক প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, দেশের সমস্থ জায়গায় জেলা-উপজেলা জেলা পর্যায়ে ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে, সেখানে আল্লাহ রসুলের কথা বলা হচ্ছে, শুধুমাত্র জামাতিপন্থায় মানুষ যাতে শিক্ষা দিক্ষা না নেয় যাতে দেশটাকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত না করে, সেই দিকটাকে আমরা অনেক সময় বলে থাকি।

তিনি আরো বলেন, ওনি (হারুন) জামাতপন্থিদের কথা মতো এখানে কিছু কথা উত্থাপন করেছেন। মুষ্টিমেয় কয়েকজন মানুষ জামাতিদের পক্ষে। দেশের ১৬ কোটি মানুষ তাদের বিরোধিতা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে রূপান্তিরিত করা থেকে রক্ষার চেষ্টা চলছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর