চাঁদাবাজী ও যাত্রী হয়রানী, রাঙামাটিতে বাস চলাচল বন্ধ

চাঁদাবাজী ও যাত্রী হয়রানী, রাঙামাটিতে বাস চলাচল বন্ধ

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙ্গামাটি থেকে

মোটর মালিক সমিতির অব্যাহত চাঁদাবাজী ও যাত্রী হয়রানীর অভিযোগে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে রাঙামাটি যাত্রী কল্যাণ সমিতি। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি চট্টগ্রাম সড়কে হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে ওই সংগঠনের নেতারা।

কাউন্টারে কাউন্টারে অবস্থান নিয়ে বাস চলাচল বন্ধ করতে বাধ্য করে চালকদের। এসময় পূর্ব ঘোষণা ছাড়া আকস্মিক এমন ধর্মঘটের কারণে দূর্ভোগে পড়ে চট্টগ্রামগামী সাধারণ যাত্রীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের অন্যতম সড়ক যোগাযোগ মাধ্যম বাস। তাই পাহাড় ছেড়ে শহরে আসতে হলে মানুষের নির্ভর কবতে হয় যাত্রীবাহী বাসের ওপর। কিন্তু বাসে চলে নানা রকম যাত্রী হয়রানি। বিশেষ করে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় সড়কে যাত্রীদের হয়রানি ও লাঞ্ছিত করার ঘটনা অনেক পুরোন।

দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ জানিয়ে আসলেও এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেইনি কেউ। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মোটর মালিক সমিতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে রাঙামাটি যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

রাঙামাটি যাত্রী কল্যাণ সমিতি নেতা ইমতিয়াজ সিদ্দিকী আসাদ জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মোটর মালিক সমিতি একটি অবৈধ সংগঠন। চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সংসদ সদস্যের নাম ভাঙিয়ে বছরের পর বছর রাঙামাটিবাসীকে জিম্মি করে রাখেছে তারা।

রাঙামাটি ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আনোয়ার মিয়া বানু জানিয়েছেন, রাউজান নির্ভর এই সংগঠনের একক আধিপত্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে রাঙামাটিতে বিলাসবহুল বাস সার্ভিস চালু করতে পারছে না কোম্পানিগুলো। প্রতিটি বাস কোম্পানির কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা করে চাঁদাবাজির ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম মোটর মালিক সমিতির নেতারা। এ চাঁদাবাজদের কারণে পাহাড়ের মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। রাঙামাটি চট্টগ্রাম সড়কে উন্নতমানের যাত্রীবাহী বাস সার্ভিস চালু না থাকায় পর্যটন শহর রাঙামাটি তাদের ব্যবসা হারাচ্ছে। উন্নত মানের যাত্রীবাহী বাস সার্ভিস চালু থাকলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রাঙামাটিতে আরো বেশি পর্যটকের আগমন ঘটতো।

চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মোটর মালিক সমিতি রাঙামাটি অংশের সভাপতি মো. মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি
মোটর মালিক সমিতির নেতাদের সাথে বৈঠক করেছিলাম। চাঁদাবাজি ও যাত্রী হয়রানী বন্ধসহ বিলাস বহুল বাস সার্ভিস চালুর ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই আমরা চাই রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বসে আলোচনা মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর