চিকিৎসা করাতে ভারতে গিয়েছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের ইউলিয়াটুলি গ্রামের আরশাদ আলী (৬৩)।
সেখানে ভারতের উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় তার।
গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) তার মুত্যু হলেও পাসপোর্টের উল্লেখিত নামের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের মিল না থাকায় মরদেহ ফেরত দেয়নি ভারতের বালুবাড়ী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা।
মৃত্যুর ৯ দিন পর সোমবার রাত ১১টায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্ধর দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ও বিজির সহায়তায় তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান তার দুই ছেলে নুরজামান ও নুর ইসলাম।
এর আগে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হলে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) হাসপাতালের মর্গে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে এ খবর জানা গেছে। ময়না তদন্তের পর বাকি দিনগুলো হাসপাতালের মর্গেই তার মরদেহ পড়ে ছিল।
আরশাদ আলী ছেলে নুর ইসলাম জানান, বাবার পাসপোর্ট মোহাম্মদ উল্লেখ ছিল না।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় আরশাদ আলির নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি হাসিবুল ইসলাম জানান, পরিবারের লোকজন বিষয়টি আমাদের জানায়নি। জানালে আমরা আমাদের জায়গা থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করতাম।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমনের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)