অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে চটেছেন ভারতের দুই সাবেক কিংবদন্তী। তারা হলেন- ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক দুই অধিনায়ক কপিল দেব ও মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন।
তাদের দাবি, আইসিসির বাইরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডেরও (বিসিসিআই) উচিৎ অভিযুক্ত খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। যাতে করে ভবিষ্যতে আর কেউ বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে এমন কিছু করতে না পারলে।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। পরে বাংলাদ দলের রাকিবুল হাসান, তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন এবং ভারতের রবি বিষ্ণু ও আকাশ সিংকে কয়েক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।
তবে তাদেরকে যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তার বাইরেও বিসিসিআইয়ের বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ বলে পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব।
‘আমি চাই, অভিযুক্ত খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে বিসিসিআই যেনো কঠোর শাস্তির ঘোষণা দেয়।
তার মতে, ‘আমি আগ্রাসী মনোভাবকে স্বাগত জানাই। এর মধ্যে কোনো ভুল নেই। কিন্তু এই এগ্রেশনের একটা সীমা থাকতে হবে। আপনি প্রতিদ্বন্দ্বিতার নামে অভদ্রতা করতে পারেন না। আমি বলব যে, ক্রিকেট মাঠে আমাদের যুবারা যা করেছে, তা মানার মতো নয়। ’
আরেক সাবেক অধিনায়ক আজহারউদ্দিন বলেন, ‘আমি হলে এসব অনূর্ধ্ব-১৯ খেলোয়াড়দের বিপক্ষে পদক্ষেপ নিতাম। একইসঙ্গে আমি জানতে চাই, এসব যুবা খেলোয়াড়দের যথাযথ শিক্ষা দেওয়ার জন্য দলের সাপোর্ট স্টাফের ভূমিকাটা কী? দেরি হয়ে যাওয়ার আগে এখনই কিছু করা উচিৎ। এসব ছেলেদের অবশ্যই শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে হবে। ’
রোববারের ভারত-বাংলাদেশ ফাইনাল ম্যাচ চলাকালীন মাঠে স্লেজি বা কথা কাটাকাটি- যা হয়েছিল, সবই ছিলো স্পোর্টিং। পুরোপুরি ক্রিকেটীয়। মাঠের সেসব ঘটনা মাঠে রাখাই হতো যুক্তিযুক্ত কাজ। কিন্তু তা না করে ম্যাচ শেষে প্রায় হাতাহাতি লেগে যায় দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে। যে কারণে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তিন ক্রিকেটার তৌহিদ হৃদয় (১০ ম্যাচ নিষিদ্ধ), শামীম হোসেন (৮ ম্যাচ নিষিদ্ধ) এবং রকিবুল হাসান (৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ) এবং ভারতের দুই ক্রিকেটারের মধ্যে আকাশ সিং নিষিদ্ধ হয়েছেন ৬ ম্যাচ আর লেগস্পিনার রবি বিষ্ণুইকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৫ ম্যাচ।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
