কথার জাদুতে তরুণীদের আকৃষ্ট করতো পিয়ার, অতঃপর...

ফাইল ছবি

কথার জাদুতে তরুণীদের আকৃষ্ট করতো পিয়ার, অতঃপর...

নিউজ ২৪ ডেস্ক

জিন-ভূত তাড়ানোর নামে নারীদের শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করে এবং সেই ভিডিও সহযোগীদের মাধ্যমে ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করতেন 'ভণ্ডপীর' আহসান হাবিব পিয়ার। ইংরেজি ও আরবি ভাষায় পারদর্শী ভণ্ডপীর আহসান হাবিব পিয়ার কথার জাদুতে মুহূর্তেই তরুণীদের আকৃষ্ট করে ফেলতেন। এরপর নানা কায়দায় তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে দিনের পর দিন ব্লাকমেইল করতেন। কখন থেকে, কীভাবে শুরু হয়েছিল ভন্ডপীর পিয়ারের এ অপকর্ম, নিজেই জানিয়েছেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে।

গত ০১ আগস্ট রাতে গ্রেফতারের পর 'ভণ্ডপীর' আহসান হাবিব পিয়ারকে দুইদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। গত ৪ আগস্ট শেষ হওয়া সেই রিমান্ডে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে এভাবে একের পর এক ধর্ষণ এবং ভিডিও চিত্র ধারণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। পরে গত ৫ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন তিনি।

'ভণ্ডপীর' আহসান হাবিব পিয়ার বলেন,  ২০১০ সালে ঢাকার বর্তমান ঠিকানায় এসে জিন-ভূত তাড়ানোর নামে তাবিজ বিক্রি করি।

পরবর্তীতে ইউটিউবে এইচপি টিভি চ্যানেল খুলে নিজের ভিডিও আপলোড করে সাধারণ মানুষের কাছে আসি।  

তিনি স্বীকার করেন, তাবিজ-কবজের চিকিৎসা, বিয়ের প্রলোভন, ইউটিউবে ভালো ভালো ভিডিও প্রচারসহ নানা প্রতারণার মাধ্যমে নারীদের ধর্ষণ করি। নিজের কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ এবং আগে থেকে লাগিয়ে রাখা গোপন ক্যামেরায় সেই দৃশ্য ধারণ করা হতো। এরপর গোপনে ধারণ করা সেইসব ভিডিও দেখিয়ে টাকা দাবি করি। অন্যথায়, তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে পুণরায় ধর্ষণে বাধ্য করি। আর সেটা না হলে ধারণ করা সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করি।

শুধু দেশের ভেতরের নারীরা যে তার দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন এমন নয়। প্রবাসী নারীদের কাছ থেকে কথা জাদুতে মুগ্ধ করে এবং ইসলাম প্রচারের দোহাই দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ‘নানা সমস্যা নিয়ে ছুটে আসা উঠতি বয়সী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার নারীদের কথার জাদুতে ফেলে এসব অপকর্ম চালাতো সে। হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে দাওরা হাদিস পড়াশোনা শেষ করে গত কয়েক বছর ধরে সে এসব অপকর্ম করে আসছে।