তিন লাখ শ্রমিক একসঙ্গে কাজ করবে, এমন শিল্প-কারখানা গড়বে বসুন্ধরা

তিন লাখ শ্রমিক একসঙ্গে কাজ করবে, এমন শিল্প-কারখানা গড়বে বসুন্ধরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
তিন লাখ শ্রমিক এক সাথে কাজ করবে এমন একটি শিল্পকারখানা গড়ার আশ্বাস দিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। তিনি বলেছেন, একটু আগে অর্থমন্ত্রীর সাথে আমার আলাপ হচ্ছিল। তিনি আমাকে বলেছেন, আপনি এমন একটা শিল্প করেন যেখানে তিন লাখ শ্রমিক এক সাথে কাজ করবে। আমি উনাকে আশ্বাস দিয়েছি, ইনশাল্লাহ আপনিই সেই কারখানার উদ্বোধন করবেন।

আজ শনিবার রাজধানীর অদূরে কেরাণীগঞ্জের পানগাঁওয়ে স্থাপিত দেশের প্রথম বেসরকারি বিটুমিন কারখানা 'বসুন্ধরা বিটুমিন প্লান্ট' উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারি-বেসরকারি নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও অবকাঠামো নির্মাণ খাতে গতি আনতে বেসরকারি পর্যায়ে বিটুমিন উৎপাদনের পদক্ষেপ নিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। আজ শনিবার বেলা পৌনে ১২টায় পবিত্র কোরআন তেলায়াতের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। একে একে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত অতিথিরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, বসুন্ধরা গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান সাদাত সোবহান তানভীর, বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান সানভীর, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর এবং তাঁর ছেলে ওয়ালিদ সোবহান।

আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত, ধন্য যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সচিব সবাই আমাদের সহযোগিতা করেন। আমাকে সহযোগিতা উদ্দেশ্য কিন্তু আমাকে না, প্রতিটা লোক জানে আমরা বাংলাদেশে এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন গড়তে চেষ্টা করছি। এ দেশের অর্থনীতি ভালো করতে চেষ্টা করছি। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন ঢাকা ও কক্সবাজারে দুটো বঙ্গবন্ধু জাদুঘর হচ্ছে। আজকের শিশুরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেক কিছুই জানে না। আমি আশা করছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সদয় হলে ঢাকা ও কক্সবাজারে দুটো জাদুঘর হবে। সেই সাথে সব মাধ্যমের শিশুরা যাতে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারে সেই ব্যবস্থাও করা হবে।

তিনি বলেন, আরেকটা কথা বলি, শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর যে উৎসাহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর কাছে ১৫ একর জায়গা চেল, তিনি বললেন, ১৫ একরে বিশ্ববিদ্যালয় হয় নাকি। তিনি কেরানীগঞ্জে ১০০০ বিঘা জায়গা দিয়েছেন। ৩০০ একর জায়গার ওপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের সকল উৎসাহ-উদ্দীপনার মূল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উনি সব সময় সকল ক্ষেত্রে আমাদের উৎসাহ দেন; তোমরা শিল্পকারখানা কর, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাও, আমি তোমাদের পাশে আছি। আমাদের ছেলেরা বিদেশ থেকে লেখাপড়া করে আবার দেশে কেন আসছে, কেননা এ দেশে ব্যবসা করার পরিবেশ আছে। গত পাঁচ বছরে আমরা একটা হরতাল দেখিনি, অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা দেখিনি। একটা সময় গিয়েছে আমারা প্রতিদিন অপেক্ষা করতাম কবে হরতাল বন্ধ হবে কবে অবরোধ বন্ধ হবে কবে জ্বালাও পোড়াও বন্ধ হবে! সেই অবস্থা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের পরিত্রাণ দিয়েছেন। সারা দেশ সারা জাতি উনার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমাদের কৃতজ্ঞতার ভাষা নেই। আজকে যাঁরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন, ব্যবসা করে ধনী হচ্ছেন- সবই তাঁর অবদান।

তিনি আরও বলেন, একটা সিদ্ধান্তে এ দেশের রেমিটেন্স ৫০ শতাংশ বেড়ে গেল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী একটা সিদ্ধান্ত নিলেন, তাঁরা বললেন ২ শতাংশ ইনসেনটিভ দেব। সাথে সাথে রেমিটেন্স ৫০ শতাংশ বেড়ে গেল। আমি শুধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীকে একটা অনুরোধ করব। আপনারা শুধু হুন্ডি বন্ধ করেন। রেমিটেন্স বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ হয়ে যাবে। প্রতি মাসে তিন বিলিয়ন ডলার এ দেশে আসবে।

বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যান বলেন, একটু আগে অর্থমন্ত্রীর সাথে আমার আলাপ হচ্ছিল। তিনি আমাকে বলেছেন, আপনি এমন একটা শিল্প করেন যেখানে তিন লাখ শ্রমিক এক সাথে কাজ করবে। আমি উনাকে আশ্বাস দিয়েছি, ইনশাল্লাহ আপনিই সেই কারখানার উদ্বোধন করবেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত, ধন্য যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সচিব সবাই আমাদের সহযোগিতা করেন। আমাকে সহযোগিতা উদ্দেশ্য কিন্তু আমাকে না, প্রতিটা লোক জানে আমরা বাংলাদেশে এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন গড়তে চেষ্টা করছি। এ দেশের অর্থনীতি ভালো করতে চেষ্টা করছি। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন ঢাকা ও কক্সবাজারে দুটো বঙ্গবন্ধু জাদুঘর হচ্ছে। আজকের শিশুরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেক কিছুই জানে না। আমি আশা করছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সদয় হলে ঢাকা ও কক্সবাজারে দুটো জাদুঘর হবে। সেই সাথে সব মাধ্যমের শিশুরা যাতে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারে সেই ব্যবস্থাও করা হবে।