দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ৮ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ, চলে নৌকা

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ৮ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ, চলে নৌকা

শফিকুল ইসলাম শামীম, রাজবাড়ী

ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে দুর্ঘটনা এড়াতে দুই দফায় ৮ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ। তবে ঝুকি নিয়ে চলে ইঞ্জিন চালিত নৌকা।

এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন চালক ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঘন কুয়াশায় ফেরি বন্ধ। রাত ১১টা সময় কুয়াশার ঘনত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করেন বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।

এসময় মাঝ নদীতে তিনটি ফেরি নোঙ্গর করে থাকে। কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে রাত ১টার সময় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।

তবে ভোর ৪টার সময় কুয়াশার ঘনত্ব আবারও বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করেন কর্তৃপক্ষ।

তবে দেখা যায়, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকা যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে।

সকাল ১০টার সময় কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে পুনরায় ফেরি ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে দুই দফায় আট ঘণ্টা ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের প্রায় ৪ কি.মি. যানবাহনের সারি রয়েছে।

ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের যাত্রী ওবাদুর রহমান বলেন, রাত ২টার সময় দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছি। ফেরি বন্ধ থাকায় সারারাত গাড়ির মধ্যে কাঁটাতে হয়েছে।

তিনি বলেন, জরুরি কাজ তাই ইঞ্জিন চালিত নৌকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হচ্ছে। তবে নৌকায় ১৫০টাকা ভাড়া চায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নৌকা চালক বলেন, কুয়াশার ভেতরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাব। এসময় ভাড়াতো একটু বেশি নিতে হবে। কুয়াশা না থাকলে নৌকায় কেউ যাবে না।

দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওসি মো. লাবু মিয়া বলেন, কুয়াশার মধ্যে কোনো নৌকা ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে অনেকে পালিয়ে যায়।

দৌলতদিয়া বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহ-ব্যবস্থাপক মাহাবুব হোসেন বলেন, কুয়াশার কারণে রাত ১১টার সময় ফেরি বন্ধ রাখতে হয়। রাত ১টার সময় কুয়াশা না থাকায় ফেরি চলাচল শুরু করি। তবে ভোর ৪টার সময় আবারও কুয়াশার কারণে ফেরি বন্ধ রাখতে হয়। দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাটে কিছু পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী পরিবহন ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে যাত্রীদের কিছুটা দুর্ভোগ হচ্ছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর