বাড়ি পৌঁছে না দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ

বাড়ি পৌঁছে না দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ

অনলাইন ডেস্ক

বান্দরবানের লামায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত দুই যুবককে মোটরসাইকেলসহ আটক করে।

ভিকটিম জানায়, মঙ্গলবার রাত ৯টায় আমার স্বামীর লামা পৌরসভার মধুঝিরিস্থ বাড়ি হতে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ধর্ষকরা আমাকে তুলে নিয়ে যায়।  

ভিকটিমের বক্তব্য মতে পুলিশ অভিযুক্ত হিসেবে লামা পৌরসভার মধুঝিরি এলাকার বাসিন্দা মৃত জালাল আহাম্মদের ছেলে মো. সাগর (১৮) ও পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কুড়ালিয়া টেক এলাকার মো. সিরাজ মিয়ার ছেলে আমির হোসেনকে (২৭) আটক করেছে।

লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। ভিকটিম অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভিকটিম ও অভিযুক্তরা থানা হেফাজতে আছে।     

ভিকটিমের বড় ভাই জানায়, আমার বোনের দুই মেয়ে।

বড় মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে ও ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। দেড় বছর আগে আমার বোনের স্বামীর সাথে তার তালাক হয়ে যায়। পরে আরেকজনের সাথে তার বিবাহ হয়। প্রায় ৭ মাস আগে দুই সন্তানের কথা ভেবে আমার বোন দ্বিতীয় স্বামীকে ছেড়ে আমাদের বাড়িতে চলে আসে। এদিকে বিদেশ থাকা বোনের প্রথম স্বামী কয়েকদিন আগে এসে আমার বোনকে তার স্ত্রী হিসেবে আবারো নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। দুইজনের সম্মতিতে তারা পুণরায় নোটারী পাবলিকে বিবাহ করে মঙ্গলবার সে তার স্বামীর ঘরে যায়। স্বামীর ঘরে গেলে সেখানে আশপাশের স্থানীয় লোকজন আমার বোনকে স্বামীর অবৈধ স্ত্রী দাবি করে তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। উপস্থিত সকলে আমার বোনকে আমাদের বাড়িতে পাঠানোর জন্য সাগর ও আমির হোসেনকে দায়িত্ব দেয়। তারা বোনকে আমাদের বাড়িতে পৌঁছে না দিয়ে পৌরসভার সাবেক বিলছড়ি এলাকায় নিয়ে রাত ১০টার দিকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে আমরা তাকে রাত ২টায় উদ্ধার করে থানা নিয়ে যাই। ভিকটিমের ভাষ্যগ্রহণ করে পুলিশ রাতেই দুজনকে আটক করে থানা নিয়ে আসে।  

পৌরসভার মধুঝিরি এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন বলেন, দুইদিন আগে ভিকটিমের স্বামী তার স্ত্রীকে পুণরায় সংসারে নিয়ে আসার কথা আমাকে জানায়। আমি মঙ্গলবার ব্যক্তিগত কাজে বান্দরবান গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এসে পরে সামাজিকভাবে বিষয়টি নিয়ে বসার কথা ছিল।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর