ঝালকাঠিতে ইউপি চেয়ারম্যানের চোরাই গাছ বাদুরতলায়

ঝালকাঠিতে ইউপি চেয়ারম্যানের চোরাই গাছ বাদুরতলায়

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠির রাজাপুরে চোরাইকৃত অর্ধলাখ টাকার সরকারি শিশু গাছ পুলিশের অনুমতিতে গভীর রাতে কড়াত কলে ফারাই করার পর পুলিশের সহযেগিতায় পালিয়ে গেলে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত সোমবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের বাদুরতলা বাজার সংলগ্ন মনিরউজ্জামান মল্লিক এর ‘স’ মিলে এ ঘটনা ঘটে। সরকারি চোরাই গাছ ‘স’ মিলে ফারাই করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চোরাই গাছ জব্দ না করে উল্টো ফারাই করে নিয়ে যেতে বলাছে বলেও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।   এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ছয়ফুট মাপের আস্ত সাতটুকরা ও বাকি গাছগুলো ফারা অবস্থায় ট্রলারে দেখতে পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ হাওলাদারকে অবহিত করেন। সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পরে থানা পুলিশের এসআই খোকন রাত বারটার দিকে আবার ঘটনাস্থলে গিয়ে ফারাইকৃত গাছগুলো ট্রলারে করে নিয়ে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে বলে জানা গেছে।  

আজ সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ হাওলাদার ‘স’ মিলে উপস্থিত হয়ে আস্ত সাত টুকরা সরকারি শিশু গাছ উদ্ধার করে ‘স’ মিল মালিক মনিরুজ্জামানের জিম্মায় দিয়েছেন। ‘স’ মিলে গাছ নিয়ে আসা চেয়ারম্যানের সহযোগী রিপন হাওলাদার বলেন, চেয়ারম্যান আবুল বাসার খান আমাদের ট্রলারে করে ৬ টি মুল গাছ ৩৩ টুকরো করে মিলে ফারাই করতে পাঠিয়েছে।

এরমধ্যে দুটি সরকারি গাছ ও বাকি গাছগুলো তার নিজের বাগানের।

ঝালকাঠি পোনাবালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসার খান বলেন, ঐ গাছ গুলো আমার নিজের বাগানের। আমি আমার লোকজন দিয়ে ‘স’ মিলে ফারাই করতে পাঠিয়েছি। স্থানীয় মিল মালিকদের দন্দের কারনে এ ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে।  

এসআই খোকন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটা অবস্থায় এক টুকরা ও আস্ত সাত টুকরো গাছ পেয়ে জব্দ করে ইউএনও স্যারকে অবহিত করেছি। শুনেছি ঐ গাছ গুলো পোনাবালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসার খান তার লোকজন দিয়ে মনিরুজ্জামানের ‘স’ মিলে ফারার জন্য পাঠিয়েছেন।

রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ হাওলাদার বলেন, সকালে বাদুরতলায় মনিরুজ্জামানের ‘স’ মিলে  উপস্থিত হয়ে কাটা অবস্থায় এক টুকরা এবং আস্ত ছয় টুকরা সরকারী শিশু গাছ মিল মালিকের জিম্মায় রেখে এসেছি।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল