ঠাকুরগাঁওয়ে সাংসদের উপস্থিতিতে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

ঠাকুরগাঁওয়ে সাংসদের উপস্থিতিতে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বাষিক সম্মেলন নিয়ে সাংসদের উপস্থিতিতে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বাষিক সম্মেলন শুরু হয়।

এতে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের এমপি রমেশ চন্দ্র সেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক কুরাইশী, সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমারসহ জেলা অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে প্রথম বর্ধিত সভা শেষ হয়। দ্বিতীয় বর্ধিত সভায় সভাপতি পদে নামের তালিকা চান নেতারা। সভাপতি পদে পাঁচজনের নাম আসে সম্মেলনে উপস্থিতিদের কাছ থেকে।
পরে সাধারণ সম্পাদকের নাম চান নেতারা। শুরুতেই মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহাগের নাম আসে উপস্থিতিদের কাছ থেকে। পরে অন্য প্রস্তাবকারীরা সাধারণ সম্পাদকের নাম দিতে চাইলে হট্টগোল শুরু হয়। এক পর্যায়ে সোহাগ গ্রুপ ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সিরাজুল ইসলামের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে সিরাজুল ইসলামকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মাথা পাঠিয়ে দেয়। তার পক্ষের লোকদেরও মারপিট করে সোহাগের লোকজন। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।

ওই ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে আজকে এ ঘটনা ঘটেছে। সোহাগ চেয়ারম্যানের লোকজন আমাকে ও আমার পক্ষের লোকদের মারধর করেছে। আমি প্রার্থী ছিলাম বলেই তারা আমাকে মারধর করেছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান খোকন জানান, এটা বিছিন্ন ঘটনা।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক কুরাইশী বলেন, তাকে বা তার লোকজনদের কেউ মারধর করেনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটের মাধ্যমে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)