হার না মানা নারীদের পাশে থাকবে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস

হার না মানা নারীদের পাশে থাকবে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস

অনলাইন ডেস্ক

জীবন যুদ্ধে হার না মানা নারীদের স্থায়ী কর্মসংস্থান করে দেবে দেশের শীর্ষ শিল্প গোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২০ উপলক্ষে ‘আপনার একটি অবদান, বাড়াবে নারীর জীবনের মান’ প্রকল্পের আওতায় প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর ১০ জন নারী এ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। এ প্রকল্প বছরের পর বছর অব্যাহত থাকবে।

শনিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জীবন যুদ্ধে হার মানতে জানেন না যেইসব নারী, তাদের পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ব সবার। তাই নারী দিবসকে সামনে রেখে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড পরিবার ব্যয় করবে সেইসব দুঃস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের পাশে দাঁড়াতে, যারা জীবন যুদ্ধে হার মানতে জানেন না। নারীদের কর্মমুখীতাকে সম্মান জানাতে বসুন্ধরার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।  

‘আপনার একটি অবদান, বাড়াবে নারীর জীবনের মান’ প্রকল্পে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড দুঃস্থ নারী যারা হয়তো ক্ষুদ্র পরিসরে ব্যবসা করছেন কিন্তু সংসার চালাতে পারছেন না অথবা শারীরিক অক্ষমতার কারণে ব্যবসা বৃদ্ধিতে অসমর্থ, এমন নারীদেরই জীবনমান উন্নয়নে কাজ করবে।

প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর বসুন্ধরা এলপি গ্যাস নিজস্ব বিক্রয়কর্মী, ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরদের সহযোগিতায় প্রাথমিকভাবে ১০ জন বা তারও অধিক নারীদের স্থায়ী কর্মসংস্থান করে দেবে।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কালের কণ্ঠ সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, নারী দিবস আসলেই আমরা নারীর উন্নয়নের কথা বলি, কিন্তু সারা বছর ভুলে যাই। কিন্তু বসুন্ধরা গ্রুপ নারীর উন্নয়নের কথা ভুলে না। বসুন্ধরা গ্রুপের মূল স্লোগান দেশ ও মানুষের কল্যাণে। শুধু পুরুষের উন্নয়ন হলে দেশের উন্নয়ন হবে না, শুধু নারীর উন্নয়ন হলেও দেশের উন্নয়ন হবে না। মানুষের কল্যাণে উন্নয়ন করতে হবে। তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে। বসুন্ধরা গ্রুপ সেই মানুষের উন্নয়নেই কাজ করছে।  

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকের উচিত নিজ অবস্থান থেকে কাজ করা। রাস্তার পাশে দাঁড়ালে দেখি নারী সন্তান নিয়ে পিঠা বিক্রি করছে। একদিকে সন্তান সামলানো আরেকদিকে কাজ করা, এটা অনেক সাহসী মনের কাজ। বসুন্ধরা এলপি গ্যাস এ মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। এদের আমরা বদলে দিতে চাই। সেই মানুষ বদলালে পরিবার বদলাবে। অবলা নারীর উন্নয়ন হবে। এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। বসুন্ধরা শুধু মুনাফার কথা ভাবে না, অবহেলিত মানুষের কথাও ভাবে।

সংবাদ সম্মেলনে বসুন্ধরা গ্রুপের হেড অব ব্র্যান্ড অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট (সেক্টর-১) জেড এম আহমেদ প্রিন্স বলেন, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস শুরু থেকেই নারীদের উন্নয়নে কাজ করে আসছে। এ বছর ‘আপনার একটি অবদান, বাড়াবে নারীর জীবনের মান’ ক্যাম্পেইনের আওতায় অসহায় দুঃস্থ নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। এছাড়াও বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের নিরাপদ আবাস ক্যাম্পেইন অনেক গৃহিণীকে সিলিন্ডার ব্যবহারে সচেতন করেছে।  

তিনি আরও বলেন, নারীদের কাজের রেখাচিত্রকে সম্মান রেখে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস বাজারে ছাড়ে, যেটা দেশের কেউ বাজারে ছাড়তে পারেনি। আগামীকাল থেকে এ প্রকল্পের আওতায় যে গ্যাস বিক্রি হবে, তার একটি অংশ অসহায় নারীদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। দুইটি প্রক্রিয়ায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। একটি হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে দুঃস্থ নারীদের আবেদন নেওয়া হবে। অপরটি হচ্ছে আমাদের ডিলারদের মাধ্যমে। যারা দুঃস্থ অসহায় নারী, তারা এ সুযোগ পাবে।  

বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (সেলস) জাকারিয়া জালাল বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপে সামনের দিনে নারী কর্মী সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। বাজারের নম্বর ওয়ান ব্র্যান্ড বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের লক্ষ্য শুধু ব্যবসা করা নয়, সমাজের উন্নয়নেও কাজ করে। নারী দিবসকে সামনে রেখে যে কনসেপ্ট নিয়ে এসেছে, সেটা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।  

সংবাদ সম্মেলনে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেডের চীফ ফিনান্সিয়াল অফিসার মাহবুব আলম বলেন, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস মহতি উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে খেটে খাওয়া নারীর ভাগ্যোন্নয়ন হবে। বসুন্ধরা সবসময়ই মানুষের কল্যাণে কাজ করে, শুধু ব্যবসা করা আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সঙ্গীতশিল্পী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক অনিমা রায় বলেন, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস সমাজ বদলে দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছে, সমাজ বদলাবে। কেউ পাশে না থাকলেও বসুন্ধরা এলপি গ্যাস পাশে থাকবে। বসুন্ধরা এলপি গ্যাসকে ধন্যবাদ। এ উদ্যোগ যেন সারা বছর ধরেই হয়। সমাজ বদলানোর যে প্রতিজ্ঞা বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের, এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।  

আইসিসিবির সিইও জসিম উদ্দিন বলেন, নারীর উন্নয়নে মানসিকতা পরিবর্তনের খুবই দরকার। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিষ্ঠান হিসেবে বসুন্ধরা সবসময় নারীর উন্নয়নে কাজ করে।  

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ডিজিএম (সাপ্লাই চেইন, সেক্টর-১) সরওয়ার হোসেন সোহাগসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর