নিউইয়র্কে করোনার ভয়ে কোয়ারেন্টাইনে ৪০০০ মানুষ

নিউইয়র্কে করোনার ভয়ে কোয়ারেন্টাইনে ৪০০০ মানুষ

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাসে আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে ১৬ জন ওয়াশিংটনে, দুই জন ফ্লোরিডায় এবং অন্যজন মারা গেছেন ক্যালিফোর্নিয়ায়। এছাড়া, এ পর্যন্ত চারশ’র বেশি মানুষ প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। এক রাতের মধ্যে নতুন ২১ জনের দেহে এই ভাইরাস ধরা পড়ায় নিউ ইয়র্কে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

গতকাল (শনিবার) বিকেলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো। তিনি জানান, বিগত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

এদিকে, আমেরিকার এনবিসি নিউজ আজ (রোববার) জানিয়েছে, নিউ ইয়র্কে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯ জনে। পুরো দেশে এখন পর্যন্ত ৩৩৮ জনের মধ্যে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে।

কুমো জানান, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রতিরক্ষামূলক জিনিসপত্র কিনতে ৩০ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে চান তিনি। করোনাভাইরাস নিয়ে বেশি আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছেন অ্যান্ড্রু কুমো। সেইসঙ্গে রাজ্যের কোথাও যেন বড় জমায়েত না হয়, সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে বলেছেন তিনি।

নিউইয়র্কের মেয়র বলেন, চার হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাস আতঙ্কে নিজে থেকেই কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছে। অনেকে কোনো নির্দেশ মানছে না।

এদিকে, গত মঙ্গলবার সেন্ট জনস এপিস্কোপাল হাসপাতালে পরীক্ষার পর এক ট্যাক্সিচালকের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এর পর থেকে আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালটির ৪০ জন চিকিৎসক ও নার্স নিজে থেকেই কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছেন। ওই ট্যাক্সিচালক এখন হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন।

আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া স্টেটের সান ফ্রান্সিসকো উপকূলে আটকে পড়া প্রমোদ তরীর ২১ যাত্রীর দেহে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যাত্রী ও নাবিক মিলিয়ে ৩ হাজার ৫৩৩ জন মানুষ এখন ওই প্রমোদতরীতে আটকা আছেন। প্রমোদতরী গ্র্যান্ড প্রিন্সেস ২ হাজার ৪০০ যাত্রী এবং ১ হাজার ১০০ ক্রু রয়েছেন। একটি অজ্ঞাত বন্দরে জাহাজটি ভেড়ানোর পর এসব মানুষকে আরেকদফা করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হবে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর