শিশু সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যায় এক জনের মৃত্যুদণ্ড

শিশু সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যায় এক জনের মৃত্যুদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর ওয়ারীতে সিলভারডেল স্কুলের ছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মাকে (০৬) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মামলার একমাত্র আসামি হারুনুর রশিদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (০৯ মার্চ) ঢাকার প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান এ রায় দেন।

দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলাটির বিচার সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি সায়মা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি।

 

এরপর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন শেষে যুক্তিতর্কের জন্য ৫ মার্চ দিন রাখেন আদালত। সেদিন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ৯ মার্চ দিন ধার্য করেন। রায়ের সময় মামলাটির একমাত্র আসামি হারুনুর রশিদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২০১৯ সালের ৫ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে শিশু সায়মার খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার।

অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওয়ারীতে বনগ্রামের খালি ফ্ল্যাটের নবম তলায় তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় গলায় রশি প্যাঁচানো, মুখ বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল সে।

খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পরদিন সায়মার বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

মামলার একমাত্র আসামি হারুনুর রশিদের বাড়ি কুমিল্লায়। ওয়ারীর বনগ্রামের যে বহুতল ভবনে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে, তার অষ্টম তলায় খালাতো ভাই পারভেজের বাসায় থাকতেন হারুন এবং ঠাঁটারীবাজারে পারভেজের রঙের দোকানেই কাজ করতেন।

হত্যার শিকার সাত বছর বয়সী মেয়েটি ভবনটির ষষ্ঠ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো। অন্যদিনের মতোই আটতলায় পারভেজের মেয়ের সঙ্গে খেলতে যাওয়ার কথা বলে শুক্রবার বাসা থেকে বের হয়েছিল সে। ছয় বছরের সেই ছোট্ট শিশুটি খেলতে গিয়েই হারুনের লালশার শিকার হয়েছে। তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নবম তলায় ফেলে রেখে আসেন হারুনুর রশিদ।

মামলাটির একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদকে গত ৭ জুলাই তার বাড়ি কুমিল্লার তিতাস থানার ডাবরডাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।  

 

 নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল